বানিয়াচংয়ে চিকিৎসার নামে কবিরাজের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীর গোপন ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মেয়েটির মা বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযুক্ত কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।.
বানিয়াচং আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত কবিরাজ। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অভিযুক্ত কবিরাজের নাম এনাম। তিনি বানিয়াচং উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিন-পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্ণ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ৪ মাস আগে পেটের ব্যথায় ওই ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী কবিরাজের কাছে নিয়ে যায় পরিবার। পরে কবিরাজ ভালো চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলবে বলে মেয়ের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন।.
কিন্তু চিকিৎসার সময় কবিরাজ এনাম মেয়েটির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলে ভুক্তভোগীর গোপন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে এ ছবি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এছাড়াও মেয়েটি কবিরাজের কথার অবাধ্য হওয়ায় গত ২৭ জুলাই ও ৮ সেপ্টেম্বর তাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও ছবি ধারণ করেন কবিরাজ।.
কবিরাজের নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে এই বিষয়টি মেয়ে তার মাকে জানালে তিনি মামলা করতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে মেয়ের মা বলেন, ‘লোকলজ্জার ভয়ে এতোদিন মুখ খুলি নাই। আমার মেয়েটি ছোট। মেয়ের যে সর্বনাশ করেছে আমি এই ভন্ড কবিরাজের উপযুক্ত বিচার চাই। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেয়েই আমরা আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করেছি। পরে আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।’. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ:-
আপনার মতামত লিখুন: