• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ ফেরুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

নেশাদ্রব্য খাইয়ে একই পরিবারের ১২ জনকে অচেতন


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ ফেরুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:১৪ পিএম;
নেশাদ্রব্য খাইয়ে,  একই পরিবারের ১২ জনকে অচেতন, হাসপাতালে ভর্তি
নেশাদ্রব্য খাইয়ে একই পরিবারের ১২ জনকে অচেতন

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাবারের সাথে চেতনা নাশক খাইয়ে একই বাড়ির তিন পরিবারের শিশু নারী পুরুষ সহ অন্তত ১২জনকে অচেতন করেছেন দুর্বৃত্তরা। অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক   অবস্থার অবনতি দেখে জনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে রেপার্ড করেছেন। তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।.

 .

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের নম্বর ওয়ার্ড এলাকার শাহজাহান মির্দার বাড়িতে ঘটনা ঘটে। এরপর রাতে সাড়ে এগারোটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে একজনের জ্ঞান ফিরে আসে।  এর আগে  রাতের খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন তারা।.

 .

ভুক্তভোগী  সদস্যরা হলেন, মো. শাহজাহান মির্দা (৭০), নুর ভানু (৬৫), পান্না আক্তার (২৭), আকলিমা বেগম (২০), আরমান হোসেন (১০), ইমরান হোসেন (), নুসরাত (), মরিয়ম (), পলি আক্তার( ১৬), পিংকি বেগম (২৫)   মো. নিশান (২৮).

 .

জ্ঞান ফিরে আসা পলি আক্তার জানান,প্রতিদিনের মতো রান্না বান্না শেষ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে পরিবারের সবাই মিলে মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশী এক বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে যান তারা। এরপর ফিরে এসে রান্না করা হাঁসের মাংস দিয়ে রাতের খাবার   খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এসময় দুই শিশু ভুমি করলেও বিষয়টি অনুমান করতে পারেননি কেউ।  পরে জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি হাসপাতালে।.

 .

ভুক্তভোগী শাহজাহান মির্দার ভাতিজা স্থানীয় আবুয়াল হোসেন কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) হেলথকেয়ার প্রোভাইডার মো. কামরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, বিয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠান দেখতে যাওয়ার কোনো এক ফাঁকে দুর্বৃত্তরা  রান্না করা খাবারের সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে রাখে। পরে ওই খাবার খেয়ে   বাড়ির তিনটি পরিবারের ১২জন সদস্য অচেতন হয়ে পড়েন।  এসময় পরিবারের অপর সদস্যরা রাতে বাড়ি ফিরে একাধিকবার ডাকাডাকি করলেও কোনো সারা শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে সবাইকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে ঘরের মুল্যবান জিনিসপত্র লুট বা চুরির  বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।.

 .

স্থানীয় আবুবকর ছিদ্দিক, নুরুন্নবী সালেহা বেগম সহ কয়েকজন বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খাবারে সাথে  নেশা মেশানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, খাবারের পরই সবাই আস্তে আস্তে অচেতন হয়ে পড়েন। যে একজন সুস্থ আছেন তিনি রাতের খাবার খুবই কম খেয়েছেন। সে কারণে তিনি পুরোপুরি অচেতন হননি।.

 .

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সোহেল রানা জানান, অচেতন অবস্থায় নিয়ে আসা শিশু সহ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য   লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে অসুস্থদের খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়েছে  বলে ধারনা করছেন তিনি .

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম জানানখবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছেন তিনি।  ঘটনার বিষয় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।.

.

ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি):

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ