নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রাজারকুল রেঞ্জে চলছে বনভূমি দখল ও নির্বিচারে পাহাড় কেটে দালান বাড়ি নির্মাণ। চারদিকে শুধু গাছ কাটা পাহাড় কেটে জায়গা ভরাট চলছে। অন্যদিকে চলছে বনভূমি দখলের প্রতিযোগিতা। এর ফলে বনবিভাগের কাছ থেকে বেদখল হয়ে যাচ্ছে শত-শত একর বনভূমি। সরকারি আইনকে তোয়াক্কা না করে বনবিভাগের সাথে সমন্বয় করে সংঘবদ্ধ বনদস্যুরা গাছ কাটা মাটি খেকো সিন্ডিকেট চক্র পাহাড়ের মাটি অবৈধ ভাবে কেটে ট্রাক ডাম্পার ও পিকআপ যোগে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে। বনবিভাগের পাহাড় কর্তনের ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারি বনভূমি হতে গাছ পাহাড় কর্তন ও মাটি সরবরাহ নিষিদ্ধ থাকলেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট সদস্যরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি মাদার টি গাছ একের পর এক পাহাড় কর্তন করেই যাচ্ছে। বর্তমানে এমন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের রাজারকুল রেঞ্জে। বন বিভাগ নামের কোন ডিপার্টমেন্ট নেই বললে চলে।.
অনুসন্ধানে উঠে আসে, বর্তমানে দক্ষিণ বনবিভাগের রাজারকুল রেঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপকহারে গাছ কাটা মাটি ভরাটের কাজ চলছে। দালান বাড়ি ও দোকান মার্কেট নির্মাণ করার জন্য জায়গা ভরাট করছে হাজার হাজার গাড়ি পাহাড়ের মাটি দিয়ে। এমন দৃশ্য দেখা যায় রাজারকুল রেঞ্জের পাঞ্জেখানা বাজারের পূর্ব পাশে। কয়েকটি সিন্ডিকেট সরকারি পাহাড় কেটে ভরাট কাজে মাটি যোগান দিচ্ছে। তাঁর মধ্যে অন্যতম রামু রাজারকুল ইউনিয়নের পাঞ্জেখানায় বিশাল সিন্ডিকেট,নেতৃত্বে রয়েছে তথাকথিত গুটিকয়েক ডাম্পার মালিক। এদিকে আরও রয়েছে অবৈধ গাছ কাটার কয়েকটি সিন্ডিকেট।সরকারি বনভূমি এবং পাহাড় কর্তন করে প্রতিদিন মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। অভিযোগ ও প্রমাণ সূত্রে প্রকাশ স্থানীয় বন বিভাগকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে বনভূমি দখল বিক্রি বাড়ি নির্মাণ সহ অর্ধশতাধিক ট্রাক-পিকআপ ও ডাম্পার ভর্তি করে হাজার হাজার ঘনফুট মাটি ও গাছ পাচার করা হচ্ছে।যদি কেউ বনবিভাগকে তাদের চাহিদা মতো অর্থ না দেয় তাহলে তার উপর নেমে আসে তাণ্ডব। ভাংচুর করা হয় বাড়িঘর দেয়া হয় একাধিক মামলা। অন্যদিকে বাড়ির মালিক বিট অফিসকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করলেও রেঞ্জ অফিস ম্যানেজ না করলে বাড়ির মালিকের উপর চলে রেঞ্জ কর্মকর্তারও সহকারী বনসংরক্ষক এর শক্তি প্রয়োগ। মামলা দেয়া সহ গুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়িঘর। অথচ অনেক সময় অবৈধ স্হাপনা নির্মাণের বিষয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে পরে আর কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়াতো দূরের কথা পরবর্তী জানতে চাইলে কল রিসিভ করেন না, ব্যস্ততা দেখায়।বর্তমানে রাজারকুল রেঞ্জে গাছ ও পাহাড় কাটার ধুম পড়েছে।.
প্রকাশ্যে অবৈধ ভাবে গাছ কাটা, পাহাড় কাটার দৃশ্য দেখলেও বন বিভাগ নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অনেকের অভিমত এদিকে রাজারকুল রেঞ্জের আওতাধীন বনভূমিতে স্হাপিত প্রতিটি পানের বরজ মালিকদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা পৌছে যায় রেঞ্জ কর্মকর্তার পকেটে। নতুন করে কেউ যদি পানের বরজ করতে চাইলে তাকেও গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা,যদি না দেয়া হয় তাহলে চলে উচ্ছেদের নামে তাণ্ডব। মূল কথা রাজারকুল রেঞ্জের বনভূমিতে কোনপ্রকার স্হাপনা করতে গেলে কর্তা বাবুদেরকে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। গত ২০২১- ২০২২সালে যত জবরদখল বাড়ছে রাজারকুল রেঞ্জে। এদিকে পানচাষিদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে মোটা অংকের টাক। রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন এবং সহকারী বনসংরক্ষক আনিসুল রহমানের চাঁদা দাবি নিয়ে রাজারকুল এবং খুনিয়াপালং সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়, তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন সহ বন মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এনিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন সহকারী বনসংরক্ষক আনিসুল রহমানের ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে রাজারকুলের পানচাষিরা এবং পরিবেশ বাদি সংগঠন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশও হয়েছে। বনভূমিতে স্থাপনা করতে অনুমোধনের জন্য টাকা দিতে হয়েছে বিট কর্মকর্তা এবং রেঞ্জ কর্মকর্তার অফিসে, এইরকম একাধিক প্রমাণও রয়েছে খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে ।রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে রাজারকুলে যোগদানের, তিনি যোগদানের তিন বছরের মধ্যে একের পর এক অপকর্মের পত্রপত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ রহস্য জনক কারণে ব্যবস্হা নেয়নি। অজানা কারণে সে এখনো রাজারকুল রেঞ্জে বহালতবিয়তে রয়েছে তা নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও)মোঃ সরওয়ার আলমের কাছ থেকে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি খোঁজ নিচ্ছি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্হা নেয়া হবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: