মোঃ নুর হোসেন(লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) অফিসের সামনে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে জসিম (৪৫) নামে এক বিদ্যুৎকর্মী অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের ঝুমুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।.
.
.
.
.
.
জসিম লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে। দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে স্থানীয় লোকজন। ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ জসিমকে খুঁটি থেকে নামিয়ে তার সহকর্মী ও স্থানীয় লোকজন জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।.
.
.
.
.
.
.
জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মো. আরমান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অগ্নিদগ্ধ জসিমের দুই হাত, বুকও পেট পুড়ে গেছে। তার শরীরের ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে। .
.
.
.
.
.
.
.
.
স্থানীয় লোকজন জানায়, সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর পিডিবি অফিসের সামনে থাকা একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করছে কর্মীরা। দুপুরের দিকে ওই খুঁটিতে কাজ করা অবস্থায় জসিম নামে একজন কর্মীর দেহে আগুন লেগে যায়। এতে তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।.
.
.
.
.
.
.
তাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। খুঁটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ না করে কাজ করার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিদ্যুৎ অফিসের সামনেই এমন দুর্ঘটনাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। .
.
.
.
.
.
কয়েকজন বিদ্যুৎকর্মী জানান, জসিম যে খুঁটিতে কাজ করতেছিলেন, ওই খুঁটি ওপরের অংশে থাকা বৈদ্যুতিক লাইন চালু ছিল। কিন্তু সে ওই খুঁটির অন্য আরেকটি বন্ধ লাইনে কাজ করার সময় ওপরের চালু লাইন থেকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এদিকে এ দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। .
.
.
.
.
.
.
.
পিডিবি লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, খুঁটিতে কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদারের একজন কর্মী আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্মীরা কাজ করার সময় ঠিকাদারের চাহিদা অনুযায়ী লাইন বন্ধ রাখা হয়। সকালে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। তখন ঠিকাদার তাজুল ইসলামের কর্মীরা লাইন মেরামতের কাজ করে। কিন্তু যখন দুর্ঘটনা ঘটেছে তখন লাইন চালু ছিল। ওই সময় বিদ্যুৎকর্মী কাজ করার কথা ছিল না। ওই কর্মী চালু লাইনে কেন উঠেছে, সেটা বোধগম্য নয়। .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মো. সবুজ বলেন, যে খুঁটিতে কাজ করা হচ্ছিল, সেটাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু পাশের খুঁটিতে লাইন চালু ছিল। কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক ক্যাবল পাশের চালু লাইনের সংস্পর্শ করলে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / মোঃ নুর হোসেন
আপনার মতামত লিখুন: