• ঢাকা
  • রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

 জালিয়াতি করে কলেজ ছাত্র সহ দুই জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:৫৫ পিএম;
 জালিয়াতি করে কলেজ ছাত্র সহ দুই জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
 জালিয়াতি করে কলেজ ছাত্র সহ দুই জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা

আশিকুর রহমান, উখিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়ায় চিকিৎসকের প্রেসক্রিপসন, সাক্ষর ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট জালিয়াতি করে কলেজ ছাত্র সহ দুই জনের জন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে মুবিনা বেগম (২৩) নামের এক গৃহীনির বিরুদ্ধে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পাগলির বিল গ্রামের বদি আলমের স্ত্রী মুবিনা বেগম ও তার পরিবার মিলে পুর্ব শত্রুতার জেরে দীর্ঘদিন ধরে একই এলেকার বাসিন্দা আতিকুর রহমান কফিল ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২ ডিসেম্বর আনোয়ার হোসেন ও আতিকুর রহমান কফিলের লাথির আঘাতে মুবিনা বেগম এর গর্ভের ৪২ দিনের একটি সন্তান গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার নাটক সাজিয়ে কক্সবাজার জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার তানজিনা শরমিনের প্রেসক্রিপসন, স্বাক্ষর ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট জালিয়াতি করে এবং কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক ডাঃ আশিকুর রহমান'কে ম্যানেজ করে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত উখিয়ায় একটি মিথ্যা সি আর মামলা দায়ের করেন।.

 .

যার মামলা নং- ৬৪৫/২২ বলে জানা গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মামলার বাদী মুবিনা বেগম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলার নতিযুক্ত করার সময় চিকিৎসকের যে সনদপত্র সংযুক্ত করেছেন তা জাল- জালিয়াতি করে বানানো হয়েছে। এই বিষয়ে ডাক্তার তানজিনা শরমিন জানান, মুবিনা বেগম ও তার স্বামী বদি আলম মিলে তার প্রেসক্রিপসন, সাক্ষর ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট জালিয়াতি করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে একজন কলেজ ছাত্র সহ দুইজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন সেটি আমি শুনেছি। আদালত এই মামলায় আমাকে সাক্ষ্য গ্রহণে ডাকলে আমি সত্য কথা বলব। তাছাড়াও যারা আমার মান ক্ষুন্ন করার জন্য আমার প্রেসক্রিপসন, স্বাক্ষর ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট জালিয়াতি করেছে তাদের জন্য আমি আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। জাল জালিয়াতি করে বানানো প্রেসক্রিপসন, স্বাক্ষর ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কিভাবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিলেন এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আশিকুর রহমানের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলে তিনি এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার এসআই বরকত জানান, ভূল সঠিক বলতে পারবনা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ আশিক সহ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের উপর ভিত্তি করে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।.

 .

হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের বাইরে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার সূযোগ নেই। মামলার বিবাদী আনোয়ার হোসেন জানান, ডাঃ তনজিনা শরমিন এর প্রেসক্রিপসন, সাক্ষর ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট জাল-জালিয়াতি করে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে আমাদের জন্য মিথ্যা মামলা করেছে সেটি এখন প্রমানিত। বাদী পক্ষের মামলায় সংযুক্ত জাল-জালিয়াতি, বাদী ও মিথ্যে সাক্ষ্য-দানকারীদের বিরুদ্ধে আমরাও একটি মামলা করেছি। স্থানীয়রা জানান, মামলার বাদী মুবিনা বেগম বিবাদী আনোয়ার হোসেন ও আতিকুর রহমান কফিলের বিরুদ্ধে ৫ ডিসেম্বর, ২২ তারিখে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত উখয়ায় নারীর সম্মতি ব্যতীত গর্ভপাত-৩১৩ ধারা সহ বিভিন্ন ধারার যে মামলাটি করেছেন তা ভিত্তিহীন। কারণ মামলার একমাস আগে ৩১ অক্টোবর ২২ তারিখে বাদী মোবিনা বেগমের গর্ভপাত হয়ে যাওয়ায় উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে ডাক্তারি চিকিৎসা নিয়েছিলেন। যা উক্ত হাসপাতালের রেজিস্ট্রাট বইয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে সমাজ ও মানবাধিকার কর্মী আশিকুর রহমান জানান, মিথ্যা মামলার বাদী মুবিনা বেগম ডাঃ তানজিনা শরমিন এর প্রেসক্রিপসন, স্বাক্ষর ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট জাল-জালিয়াতি করে বিবাদী আনোয়ার হোসেন ও আতিকুর রহমান কফিল এর বিরুদ্ধে "নারীর সম্মতি ব্যতীত গর্ভপাত-৩১৩" সহ কয়েকটি ধারায় মিথ্যা মামলা করেছেন। যেটি প্রমানিত হলে আদালত কর্তৃক বিবাদীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হলে বাদী মুমিনা বেগম সহ যারা টাকার বিনিময়ে মিথ্যা মেডিক্যাল সার্টিফিকেট সহ প্রেসক্রিপসন, স্বাক্ষর ও আল্ট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্ট জাল জালিয়াতি ও সংগ্রহ করতে সহযোগিতা করেছে তাঁদের একই শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে মনে করি। নয়তো টাকার বিনিময়ে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট কিনে মিথ্যা মামলা করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া সহ চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।.

.

ডে-নাইট-নিউজ /

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ