.
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূ অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গত মার্চ মাসের ৯ তারিখ শনিবার মান্দারী সিএনজি স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলায় ইসমাইল হোসেন সহ আরো চারজন আসামি রয়েছে। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন মান্দারী ইউনিয়নের মিয়াপুর এলাকার মেন্দু মিয়ার ছেলে ও সাবেক ইউপি মেম্বার। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন সাগর, সাইফুল ইসলাম, মো. আনোয়ার ও মো. রাসেল। গৃহবধু তাসলিমা দিঘলী দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও একই এলাকার আব্দুল ওয়াহেদের মেয়ে। .
.
.
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন সহ আসামিরা গৃহবধূ তাসলিমাকে মাদ্রাসা আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন ও কু-প্রস্তাব দিত। বিষয়টি মা-বাবা সহ স্বজনরা জানলেও সম্মানের ভয়ে কাউকে জানায়নি তারা। এতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে আসামীরা। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ মা নাসিমা সহ গৃহবধূ তাসলিমা ঢাকা থেকে বাসযোগে এসে মান্দারিতে অবস্থান করে। এর আগে গৃহবধূ আসার খবর পেয়ে পূর্ব থেকেই উৎপাতে থাকে ইসমাইল হোসেন সহ অন্যান্য আসামিরা। পরে জোরপূর্বক টানা হেঁচড়া করে সিএনজিযোগে তাসলিমাকে উঠে নিয়ে যায় তারা। যদিও পরবর্তীতে উদ্ধার হয় ওই গৃহবধু। মামলা বিষয়টি পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে।.
.
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সাবেক মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন অস্বীকার করে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ওই গৃহবধূকে তিনি চিনেন না। তিনি বলেন নাসিমাদের পারিবারিক বিষয়। তাদের মেয়ে এবং মেয়ের জামাই নিয়ে ঝামেলা ছিল, এমনটাই তিনি শুনেছেন। প্রথমে কিছুই জানেন না বললেও পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য দেন তিনি। এবিষয়ে পিবিআই উপ পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। ডিএনএ পরীক্ষা এবং মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরে প্রতিবেদন দেয়া হবে।.
. .
ডে-নাইট-নিউজ / লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: