চুনারুঘাটে আলোচিত কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল-৪১৫ শিবলু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে বাদিকে হুমকি ধামকি প্রদান করা হচ্ছে। গতকাল কলেজ ছাত্রী ও মামলার বাদি উপজেলার দুধপাতিল গ্রামের পাপিয়া আক্তারকে তার বাড়িতে গিয়ে লোকজন নিয়ে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে এবং হামলার প্রস্তুতি নেয়। তাৎক্ষনিক বিষয়টি পাপিয়া ৯৯৯ কল করলে থানার এসআই আকবরসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শিবলু ও তার লোকজন পালিয়ে যায় এবং পরিস্থতি শান্ত হয়।.
উল্লেখ্য গত ১১ আগষ্ট চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা শিবলুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার চার্জশীট দেন। দীর্ঘদিন কারাবাসের পর সে জামিনে বেরিয়ে আসে এবং বাদি কলেজ ছাত্রী পাপিয়া আক্তার জান্নাতকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।.
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় চুনারুঘাট উপজেলার দুধপাতিল গ্রামের এইচএসসির ছাত্রী পাপিয়া (২০) জানায়, একই গ্রামের মৃত রমিজ উল্লার পুত্র সিলেট পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল শিবলু মিয়া (২৫) এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে সিলেট, শ্রীমঙ্গল, চুনারুঘাটসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এক পর্যায়ে সে অন্তস্বত্তা হয়ে পড়লে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করবে বলে চুনারুঘাটের একটি হাসপাতালে তার গর্ভপাত ঘটায়। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সিলেটের হোটেলে তাকে পুনরায় ধর্ষণ করে সটকে পড়ে।.
ওই কলেজ ছাত্রী জানায়, শিবলুর বিরুদ্ধে মামলা করলে শিবলুকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এবং সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি। এরপর একাধিকবার হবিগঞ্জ কোর্টে জামিন না না মঞ্জুর হলে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে বেসামাল হয়ে উঠেছেন।. .
ডে-নাইট-নিউজ / মো: উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ:-
আপনার মতামত লিখুন: