সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে নীলফামারীর ডিমলায় এসএসসি পরীক্ষা শুরুর ১ দিনে আগেও কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছেন ঝুনাগাছ চাপানী দুদিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বদেশ চন্দ্র রায়। .
এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কোচিং সেন্টারের পরিচালক ওই শিক্ষকের হামলার শিকার হন দুইজন সাংবাদিক। জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা চলাকালীন সকল প্রকার কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।.
বুধবার (১৪সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চাপানি বাজারের পিছনে নিজ বাড়িতে শিক্ষক স্বদেশ চন্দ্র তার কোচিং সেন্টারে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান দৈনিক আলোকিত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মামুন অর রশিদ ও দৈনিক একুশের বানী'র স্টাফ রিপোর্টার মশিয়ার রহমান।.
মামুন রশিদ ও মশিয়ার রহমান বলেন,শিক্ষক স্বদেশ চন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সরকারের নির্দেশনা না মেনে সেখানে এখনও কোচিং সেন্টার চলছে ।এসময় কোচিং সেন্টারের ভেতরে প্রবেশ করলে পঞ্চাশোর্ধ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা যায়।এদের মধ্যে এবছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীও রয়েছে। কথা বলতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে গেলে তারা কোনো কথা না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।.
এ সময় তথ্যের জন্য ভিডিও চিত্র ধারন করলে শিক্ষক স্বদেশ বলেন, কার অনুমতি নিয়ে ভিডিও করা হচ্ছে? তিনি এ সময় আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।অতর্কিত হামলা করে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ছিনিয়ে নেয়। ক্যামেরা চলাকালে তাঁকে (মামুন) ও তাঁর সহকর্মী মশিউরকে মারধর করা হয়। ক্যামেরা ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে ঘাড় ধাক্কা দিতে দিতে রাস্তায় বের করে দেয়।এ সময় ওই শিক্ষক সাংবাদিক সমাজের উদ্যেশ্যে অকথ্য অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে জানান তারা।.
এ ঘটনায় ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগী সাংবাদিক মামুন অর রশিদ। এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক স্বদেশ চন্দ্রের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায় নি।.
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপজেলার সকল প্রকার কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / নীলফামারী প্রতিনিধি।।
আপনার মতামত লিখুন: