• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

তোরাবগঞ্জ ও হাজিরহাট ইউপি কমলনগরে জেলেদের তালিকায় সিংহভাগই ভুয়া


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০২:০৯ পিএম;
তোরাবগঞ্জ ও হাজিরহাট,  ইউপি কমলনগরে,  জেলেদের তালিকায়,  সিংহভাগই ভুয়া
তোরাবগঞ্জ ও হাজিরহাট ইউপি কমলনগরে জেলেদের তালিকায় সিংহভাগই ভুয়া
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জেলেদের ভিজি এফের চাল পাচ্ছে না প্রকৃত জেলেরা।  জেলেদের ন্যায্য অধিকার চাল পাচ্ছেন  বিগত আওয়ামী সরকারের  দলীয়  সচ্ছল  পরিবারসহ নামে বেনামের  প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।  এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ আর অসন্তোষ   দেখা দিয়েছে। উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নে ৫৭৮  জেলের মধ্যে  প্রায় ৪০০ জন ও   তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নেই ৮২৯ জন  জেলে তালিকার মধ্যে ৪০০ জনের নামই ভুয়া  সূত্রে জানা গেছে।  উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জেলেদের জন্য সরকারি ভিজিএফ সহায়তার চাল বিতরণের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ অতিপুরনো। এ সংক্রান্ত  অভিযোগের  প্রেক্ষিতে চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে যাচাই-বাছাই করা হয়। অভিযোগ ওঠেছে, বিগত সরকারের সময়ে স্থানীয় মৎস্য অফিস বিভিন্ন ইউনিয়নের একশ্রেনীর সুবিধাভোগী দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে   জেলেদের তালিকাসহ কার্ড প্রদান করে।এতে প্রকৃত   জেলেদের পরিবর্তে ভুয়া জেলের নাম দেখিয়ে সরকারের সুযোগ সুবিধা লুটে  নেওয়া হয়।
 
 
কমলনগর উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে,  মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমকে ঘিরে বছরের নভেম্বর-  মে পর্যন্ত জাটকা ইলিশ সংরক্ষনে, মা-ইলিশ রক্ষায় ২২দিন (অক্টোবর-নভেম্বর) এবং মে-জুলাই (৬৫দিন) নদীতে সকল প্রকার জাল ফেলাসহ মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এসময় জেলেদের খাদ্য সহায়তার জন্য যথাক্রমে জেলেপ্রতি ৪০ কেজি করে ৪ মাস, ২৫ কেজি করে ২২দিন ও ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান কার্যক্রম চালু রয়েছে।
 
 
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় মৎস্য অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান- মেম্বারদের যোগসাজসে তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্ণীতি করা হয়। প্রকৃত জেলে হওয়া সত্বে  মৎস্যজীবি জেলে  মো. কবির, নুরুল আলম  অন্তভর্‚ক্ত করা হয়নি। দুটি  ইউনিয়নে সাড়ে ১৩০০  জেলে কার্ডের মধ্যে ৮০০ জনের ভুয়া তথ্য বেরিয়ে আসায় স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এছাড়া হাজিরহাট ইউনিয়নের ইউপি  চেয়ারম্যান ও প্রশাসনিক  অফিসারের  যোগসাজশে স্বচল পরিবাররা পাচ্ছেন  জেলেদের চাল। এদিকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান  আশ্রাফুজ্জামাল রাসেলের সহায়তা  বিগত দিনে  প্রায় ৪০০ সচ্ছল পরিবার থেকে  অবৈধ সহায়তা নিয়ে সরকারী জেলে সহায়তা  দিয়েছেন।
 
 
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, হাজিরাহাট ইউনিয়নে ৪০০  বেশি ভুয়া  জেলে রয়েছে।  তৎকালীন  চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগ নেতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে জেলেদের নাম বসিয়ে সরকারের খাদ্য সহায়তার অনিয়ম করেছেন।
 
 
এবিষয়ে  তোরাবগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান  আশ্রাফুজ্জামাল রাছেল বলেন, আমরা উপজেলা থেকে জেলেদের তালিকা হালনাগাদের চিঠি পেয়েছি। এবিষয়ে  হালনাাদারে এখনও কোন কাজ করি নাই। তিনি আরও বলেন  জেলেদের তালিকা হালনাগাদ করতে প্রয়োজনে উপজেলা আমাদের তালিকা পাঠিয়ে দিবো। আমাদের ইউনিয়নে কোন জেলেই রাখতে চাই না।  
 
 
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা বলেন, কমলনগর উপজেলায় নিবন্ধিত  মোট  জেলের সংখ্যা ১৩ হাজার ১৬৭ জন। এরমধ্যে চরকালকিনি ইউনিয়নের ৩ হাজার  জেলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সরকারি সুবিধা ভোগ করছিলেন। চলমান হালনাগাদ তালিকা হতে ইতিমধ্যে কালকিনি ইউনিয়নের ভুয়া, প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তি সহ ৬০০ জনকে বাদ  দেয়া হচ্ছে। উপজেলার নয়টি ইউনিয়নেই হালনাগাদ করার কাজ চলছে।এছাড়া তালিকা তৈরিতে অনিয়ম-দূর্ণীতির অভিযোগ বিষয়টি এ কর্মস্থলে তার যোগদানের পূর্বের ঘটনা বলে জানান তিনি।এছাড়া হাজিরহাট- তোরাবগঞ¦ ইউনিয়নে একাধিকবার জেলেদের নাম হালনাগাদে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা আমাদের হালনাগাদের চিঠিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
 
 
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন,   বিভিন্ন ইউনিয়নের জেলেদের তালিকায় ভুয়া নামের বিষয়ে আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করে হালনাগাদের কাজ করছি।  প্রকৃত   জেলেদের নাম  তালিকা থাকার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
.

ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ(লক্ষ্মীপুর জেলা প্রনিধি) :

সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ