ফিলিস্থিনের গাজায় গণহত্যা ও ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে কমলনগরে বিক্ষোভ মিছি

 

নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ) : মুসলিম বিশ্বের অনৈক্যের কারণেই "বিশ্ব জারজ রাস্ট্র ইসরাইল" একের পর এক গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে।সৌদি আরব, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া সহ বিশ্বের এই ৫টি মুসলিম দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করলে ইসরাইল একদিনও ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাতে পারতো না। কিন্তু মুসলিম এ দেশ গুলোর ভূমিকা বিশ্ব মুসলিমকে হতভাগ করে তুলেছে।

আজ বুধবার (১৯ মার্চ ২০২৫)  রাত সাড়ে নয়টার দিকে গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা তাওহীদী জনতার ব্যানারে হাজিরহাট বাজারে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট আলেম মুফতী শরীফুল ইসলাম। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুফতী নুরুল্লাহ খালিদ,মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাস্টার মোছলেহ উদ্দিন, মাওলানা ইউছুফ হেলালী প্রমুখ। 

 

 

বক্তারা বলেন, ভারতে অতীতের মতোই আবারও মুসলিম সংখ্যালঘু নির্যাতন শুরু করেছে । সংখ্যালঘু নির্যাতনে ভারত সারা বিশ্বের মধ্য নাম্বার ওয়ান খ্যাতি অর্জনের পথে হাঁটছে।ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ভয়াবহতা ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করার জন্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে তারা। ভারতীয় এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বদরের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে সকল প্রকার অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। অবিলম্বে মুসলিম সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করতে ভারত সরকারের প্রতিহুশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।

 

 

বক্তারা বলেন, ইসলামে কোনো বিভেদ থাকার সুযোগ নেই, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সারা বিশ্বে ২০০ কোটির বেশি মুসলমান, কিন্তু তাদের মধ্যে ঐক্য নেই। এর ফলে বিভিন্ন জনপদে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছেন। পশ্চিমা বিশ্বের কঠোর সমালোচনা তারা বলেন, পশ্চিমারা চায় না মুসলিম দেশগুলোতে কোন ভাবেই ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক। কেননা, মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা হলে রাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র উৎখাত হয়ে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। এতে মুসলিম বিশ্বের ওপর পশ্চিমাদের মোড়লিপনা আর থাকবে না। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে জারজ রাস্ট্র ইসরায়েলের প্রতি জোর আহবান জানানো হয়। না হয় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী জিহাদ ঘোষণা করতে মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।