মো. সায়েস্তা মিয়া বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ বিশ্বনাথে সালিশের নাম করে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের ৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি উপজেলার মাহতাব পুর বাজার মৎস্য আড়তের তিনটি দোকানের মালিকানা আসামিপক্ষকে অবৈধভাবে দেয়ার অভিযোগ করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য ও মৎস্যজীবী দলের উপজেলা কমিটির সভাপতি হেলাল মিয়া। .
.
.
.
.
.
.
.
অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাহতাবপুর মৎস আড়ৎ নিয়ে হেলাল মিয়া গং ও বশির উদ্দিন গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে সর্বশেষ গত আগস্টে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও লুটপাটে লিপ্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করে উভয় পক্ষ। মামলা চলাকালীন বিষয়টি আপোষে মিমাংসার প্রস্তাব আসে বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে। আপোষে বাদীপক্ষের অনুপস্থিতিতে বিচারকগণ রায় প্রদান করেন। এতে বাদী পক্ষ একতরফা রায়ে অসন্তোষ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার দাবী করেন। .
.
.
.
.
.
.
.
সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী হেলাল মিয়া বিচারকদের উদ্দেশ্যে অভিযোগ করে বলেন, তারা যদি সঠিক বিচার করতেন তাহলে যার চোখ চলে গেছে তাকে দোকানের মালিকানা বুঝিয়ে দিতেন। কিন্তু তা না করে যাদের হামলায় আমার ভাতিজার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে সেই আসামিদেরকেই বিচারে রায়ের নাম করে দোকানের মালিকানা বুঝিয়ে দিয়েছেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর হেলাল মিয়ার নিজ বাড়িতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। হেলাল মেম্বার বলেন, বিশ্বনাথের মাহতাব পুর বাজার মৎস্য আড়তের জটিলতা নিয়ে বিগত ২২শে আগস্ট আমার বাড়িতে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর করা হয়েছে। বশির উদ্দিন গ্রুপের লোকদের হামলায় আমার ভাতিজা স্কুলছাত্রের চোখ চলে গেছে। তাকে ঢাকা নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া আমাকে বিচার সালিশের প্রস্তাব দেন। তারা আমাকে বলেন, ভাবির (ইলিয়াস পত্নী লুনা) নির্দেশ আছে ঘটনাটি সালিশের মাধ্যমে শেষ করতে হবে। এরপর তারা সালিশের জন্য আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ও আমার প্রতিপক্ষ বশিরের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা আমানত জমা নেন। তারপর তারা ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সালিশে ঘটনাটি সমাধানের তারিখ নির্ধারণ করেন। তখন তাদের বলি- আমার ভাতিজার যে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। কিন্তু তারা একবারের জন্য ও তাকে দেখেনওনি, আমার কথা ও শুনেননি।.
.
.
.
.
.
.
.
তখন তাদের আমি অনুরোধ করি আপনারা পক্ষ ছাড়া কিভাবে শনিবার সালিশ করবেন। আমাকে সময় দেন। কিন্তু তারা সেটাও শুনেনি। তারা বলেন- আমরা শনিবার সালিশে বসে বিচারের রায় দিয়ে দেব। তারা আমাদের সময় না দিয়ে শনিবার একতরফা সালিশ করে রায় দেন। রায়ে তারা আমার ৫ লাখ টাকা আমানত বাজেয়াপ্ত করেন। আমার পক্ষের লোকের আড়তের তিনটি দোকান বেআইনিভাবে প্রতিপক্ষকে দিয়ে দেন। লিজ থাকা সত্ত্বে দোকানগুলো আসামিপক্ষকে দিয়ে যান তারা। কিন্তু বিচার যদি সঠিক হতো তাহলে যার চোখ চলে গেছে তাকে দোকান দেয়া হতো। কিন্তু তা না করে আসামিপক্ষকে দেয়া হয়। রায়ে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, কিন্তু তার কারণ উল্লেখ করেনি কি অপরাধ আমি করেছি। কি কারণে ৫ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তাও বলেননি। বিচারের নামে গোন্ডা বাহিনীকে তারা দোকান পুরস্কার দিয়ে দিয়েছেন। হেলাল মেম্বার আরও অভিযোগ করেন, এই দোকানগুলো নিয়ে আদালতে দায়ের করা ১৫টি মামলার কাগজ পত্র দিয়েছি।.
.
.
.
.
.
.
.
তারা সেগুলোও দেখেনি। একটা স্কুলছাত্রের যে চোখ চলে গেছে তার বিচারও করেনি। সুপ্রিম কোর্টের মামলার রায় আমরা পেয়েছি। সালিশকারকরা হাইকোর্টের সেই বায়কে ভূয়া বলে অভিহিত করেন। যে ফখরুদ্দিন গংকে দোকান দেয়া হয়েছে তারা রাতারাতি দোকান বিক্রি করে দিয়ে ১১ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, বিচারের রায় দিয়েছেন ২১শে সেপ্টেম্বর, কিন্তু বিচারের তারিখ ছিল ২৫শে সেপ্টেম্বর। তারা চারদিন আগেই রায় দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা অন্যায়ভাবে বিচারের রায় দিয়ে গেছেন। জাকিরের দোকান ইমানিকে, আলী আকবরের দোকান এবাদকে, তারেকের দোকান দিয়েছেন জামিলকে। সালিশকারকরা এই একতরফা বিচার কেন করলো দেশবাসীর কাছে এর সুষ্ট বিচার চাই। দোকানগুলো উদ্ধার চাই। কিসের বিনিময়ে এই রায় দেয়া হলো সাংবাদিকদের তদন্ত করায় দাবি জানাচ্ছি।।.
.
. .
ডে-নাইট-নিউজ / মো. সায়েস্তা মিয়া
আপনার মতামত লিখুন: