কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসা’র ৪০০-৪৫০ জন সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে। তারা ক্যাম্পের গহীন পাহাড়ে গোপন আস্তানা তৈরি করে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, গুমসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে আসছে।.
টেকনাফের গোপন আস্তানা থেকে র্যাবের হাতে আটক সংগঠনটির সামরিক কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদসহ আরসার ৬ শীর্ষ সন্ত্রাসীর কাছ থেকে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য।.
মিয়ানমারে থাকতে তারা কে কী করতেন, কে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিতেন, কে বোমা বানাতেন এবং বাংলাদেশে এসে তারা কীভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন এবং কে কোন দায়িত্বে ছিলেন, তারা নিজেরাই র্যাবের কাছে এসব তথ্য জানিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।.
শুক্রবার রাতে টেকনাফের গহীন পাহাড়ে আরসা’র একটি গোপন আস্তানা থেকে সংগঠনটির সামরিক কমান্ডার হাফেজ নুর মোহাম্মদকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে আরসা সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হোসেন জোহার (৩০), মো. ফারুক হারেস (২৩), মনির আহাম্মদ (৩৬), নূর ইসলাম (২৯), মো. ইয়াছিন (২১) গ্রেপ্তার করা হয়।.
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলবার, ১টি শর্টগান, ৪টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৩টি দেশীয় রামদা, গুলিসহ নগদ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করে র্যাব।.
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনই আরসার সক্রিয় সদস্য। তারা সবাই শীর্ষ সন্ত্রাসী।.
তিনি বলেন, হাফেজ নূর মোহাম্মদ উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের অন্যতম সামরিক কমান্ডার হিসেবে আরসার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তার নেতৃত্বে আরসার ৩০-৩৫ জন সদস্য ওই ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। এমনকি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তারা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র চোরাচালান করত।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: