শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের জংশনের পার্কিং এখন অলিখিত স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। যে কারণে ট্রেনের কোনো যাত্রীরা গাড়ি নিয়ে পার্কিংয়ে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে অনেক যাত্রীরা রাতের বেলা বিড়ম্বনার পাশাপাশি দূর্ঘটনার শিকার হন। .
তৎকালীন রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত শায়েস্তাগঞ্জ জংশনটিকে মডেল জংশনে পরিণত করেন এবং যাত্রীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গাটি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে রেলওয়ের জনৈক কর্মকর্তাসহ একটি চক্র ইমা, মাইক্রেবাস, নোহা, হাইয়েস, ম্যাক্সি ও সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ড হিসেবে পরিণত করেন। আর প্রতিদিন এসব গাড়ি থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১শ টাকা করে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। যার ফলে যানজট লেগেই থাকে। অনেক যাত্রীরা জংশনে প্রবেশ করার আগেই ট্রেন ছেড়ে যায়।.
ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা কোনো অবস্থাতেই গাড়ি নিয়ে জংশনে প্রবেশ করতে পারেন না। প্রবেশ করার আগেই স্ট্যান্ডে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত অবৈধ চেকার ও গার্ডরা তাদের বাঁধা দেন। তবে কোনো কোনো সময় ভিআইপি গাড়ি দেখলে ছেড়ে দেন।.
এ কারণে তাদের মালামাল নিয়ে ট্রেনে উঠতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন দূর্ঘটনা ঘটে। শায়েস্তাগঞ্জের এক রেল কর্মকর্তা জানান, এটি সম্পূর্ণ সরকারি এবং যাত্রীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা এবং তাদের একজন কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় এটি দখল করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আর এক ভাগ কতিপয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও পেয়ে থাকেন। যার ফলে তারা ব্যবস্থা নেন না। তাই তিনি অচিরেই জায়গাটি দখলমুক্ত করার দাবি জানান।. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ॥
আপনার মতামত লিখুন: