র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস্য উদঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব-৭ চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরনকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারন জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। .
অপহৃত নাবালিকা ভিকটিম ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। তার বাবা একজন প্রবাসী। সে স্কুলে আসার যাওয়ার পথে মোঃ ওসমান নামের এক যুবক প্রায়ই উত্যক্ত করত। এব্যাপারে ভিকটিমের মা স্থানীয় লোকজনদের বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন ওসমানকে ভিকটিমকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করে। স্থানীয় লোকজনের উত্যক্ত করতে নিষেধ করার কথায় ওসমান ক্ষিপ্ত হয়ে তার অপর দুই সহযোগী ১। কিশোর দে (২০) এবং ৩। বিষু দাস (২১) ও অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের সহযোগীতায় গত ২৫ মার্চ ২০২২ইং তারিখ রাত ০৮.০০ ঘটিকায় ভিকটিমের বসত ঘর হতে তাকে অপহরন করে মোটর সাইকেল যোগে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ০১ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ ভিকটিমের মা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার নং-০১, তারিখ-০১/০৪/২০২২ ইং, ধারা-৭/৩০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩)। .
ভিকটিম অল্প বয়সী এবং তার বাবা প্রবাসী হওয়ার কারনে অপহরনে বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। যার ফলে উক্ত মামলার ভিকটিম উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতার করার জন্য র্যাব-৭,চট্টগ্রাম তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ২০ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখ ২১১৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবল মুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের মায়ের সনাক্ত মতে অপহৃত ১৪ বছরের ভিকটিমকে উক্ত মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামীর হেফাজত হতে উদ্ধারসহ এ ঘটনার সাথে জড়িত এজাহার নামীয় ১নং আসামী মোঃ ওসমান (২২), পিতা- মৃত জাফর আহাম্মদ প্রকাশ জাফর বলি, সাং- ইদিলপুর এবং ২নং আসামী কিশোর দে (২০), পিতা- রঞ্জিত দে @ বোবা রঞ্জিত, সাং- ইদিলপুর, উভয় থানা- ভুজপুর, জেলা- চট্টগ্রামদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামীদ্বয় উপরোক্ত মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা নিজ মূখে স্বীকার করে।.
আটককৃত আসামীদের প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায, তারর ভিকটিমকে ফুসলিয়ে, বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরন করার পর ১নং আসামী ওসমান ভিকটিমের সাথে থাকা স্বর্নের কানের দুল, চেইন বিক্রি করে বিভিন্ন জায়গায় খরচ করে। উল্লেখ্য যে, তাদের কাছে থাকা টাকা শেষ হয়ে গেলে ভিকটিমকে অন্যত্র বিক্রি করে দিতে পারত বলে প্রতিয়মান হয়। .
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে অফিসার ইনচার্জ ভুজপুর থানা বরাবর হস্তান্তর প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।.
. .
ডে-নাইট-নিউজ / দিদারুল আলম
আপনার মতামত লিখুন: