আশুগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতি নামধারণ করে পাস বইয়ের মাধ্যমে প্রায় ছয় থেকে সাতশত মানুষের সদস্য সংখ্যা গঠন করে এক বিশাল ব্যবসায়ী সমিতি নামক সংগঠন সৃষ্টি করে। গ্রাহকের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বসে আছে খুবই শক্ত করে। খুঁজ নিয়ে জানা যায় বিগত পাঁচ বছর যাবত আশুগঞ্জ বন্দরে বিভিন্ন পেশার অস্থায়ী মানুষের গৃহনীদের বিভিন্ন লোভনী লাভ দেখিয়ে প্রতিদিন পাস বইয়ের মাধ্যমে-প্রতি সদস্যর নিকট থেকে একশত/দুইশত/তিনশত এবং পঞ্চাশ টাকা এমনকি পাঁচশত টাকা করিয়া প্রতিদিন নিতে থাকে। প্রতারকের অবস্থান আশুগঞ্জ পশ্চিম বাজার, হাসপাতাল রোড। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, এক সময় লুক্কু মিয়া নামের এই প্রতারক আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের চাকরি করতেন। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, তৎকালীন সময়ে লুক্কু মিয়ার বিভিন্ন অনৈতিক কাজের অপরাধে গ্রাম পুলিশের চাকুরী থেকে চাকুরীচ্যুত হয়। খুঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুগঞ্জ পূর্ব বাজারের এক রিক্সা/সিএনজি ব্যবসায়ীর স্ত্রী মুছেনা বেগমের কাছ থেকে আশুগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য করে। প্রথম থেকেই শুরু করে প্রতিদিন দুই হাজার টাকা করে দিতে থাকে মুছেনা বেগম। সমিতির টাকা আদায় কারী লুক্কু মিয়াকে বিগত ২৫/০৬/২০২২ইং সকাল বেলায় মুছেনা বেগমের স্বামী টাকা ফেরত নিতে লুক্কু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করিলে প্রতারক লুক্কু সাফ জানিয়ে দেয়-ছয়/সাত মাস পরে টাকা দিয়ে দিব।.
ঐ ঘটনা স্থানীয় এক যুবক সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইম রিপোর্টারকে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করার অনুরোধ করলে ক্রাইম রিপোর্টার প্রতারকের বাসায় হাজির হয়ে লুক্কুকে প্রশ্ন করেন, মুছেনা কত টাকা তোমার সমিতিতে পাওনা আছে, জবাবে প্রতারক বলেন ভাই আমার নিকট এগার লক্ষ টাকা পাওনা ছিল, বর্তমানে পাঁচ লক্ষ টাকা পাওনা আছে। তথ্য অনুসন্ধানে মুছেনা বেগমের সাথে ক্রাইম রিপোর্টার এসএম জজ মিয়া যোগাযোগ করিলে মুছেনা বেগম তার পাস বই বের করে দেয়। আশুগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির পাস বই হিসাব অনুযায়ী মুছেনা বেগম প্রতারক লুক্কু মিয়ার নিকটে টাকা পাওনা পাঁচ লক্ষ চৌরাশি হাজার টাকা- ৫,৮৪,০০০/= টাকা। এখানে উল্লেখ্য বিষয়, ক্রাইম রিপোর্টারের নিকট প্রতারক অকপটে পাঁচ লক্ষ টাকা পাওনা আছে মুছেনা স্বীকার করেন প্রতারক লুক্কু মিয়া । খুঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতারক লুক্কু মিয়া দুই হাজার ষোল থেকে সাধারণ অশিক্ষিত মহিলাদের এবং বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে মানুষের সাথে এক বিশাল প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। উক্ত টাকায় সুচৌতুর প্রতারক লুক্কু আশুগঞ্জ উপজেলার পাশে আটশতক জমি ক্রয় করে, এমনকি নদীতে তার দুইটি স্টীল বডি নৌকা আছে, যার আনুমানিক মূল্য চল্লিশ লক্ষ টাকা। ক্রাইম রিপোর্টার বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার মানুষের অভিযোগের সূত্র ধরে প্রতারক লুক্কু মিয়ার ব্যাপারে অনুসন্ধান করে জানা যায় প্রতারক লুক্কু মিয়া বিভিন্ন মানুষের টাকা আত্বসাৎ করে একটি গরুর খামার করেছে। যেই খামারে ছোট বড় পাঁচটি গরু আছে। খামারের গরু আনুমানিক মূল্য প্রায় সাত থেকে আট লক্ষ টাকা হবে। তথ্য অনুসন্ধানী ক্রাইম রিপোর্টারকে এই বলিয়া প্রতারক হুমকি দেয় আপনি রিপোর্ট করে টাকা আমার নিকট থেকে আদায় করে দিতে পারবেন না। আমার সমিতির গ্রাহকগণের, আপনি বারা-বারি করিলে স্থানীয় আমার উপদেষ্টাদের বলব। আমার উপদেষ্টারা বিষয়টি দমন করিবে আর থানা পুলিশ আমার কিছুই করিতে পারিবে না। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ অস্থায়ী গ্রাহকগণ ক্রাইম রিপোর্টারকে বলেন ভাই লুক্কু মিয়ার ছেলে বর্তমানে বিদেশ আছে ইচ্ছা করলে আমাদের টাকা ফেরত দিতে পারে। কিন্তু এলাকার এক প্রভাবশালী স্থানীয় লোকের কারণেই আমাদের পাওনা টাকা পাচ্ছি না, এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে তদন্ত সংস্থা যেমন-পিবিআই, সিআইডি, ডিবির প্রশাসনিক সরকারী কর্মকতাদের আশ্রয়ে আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। ক্রাইম রিপোর্টার এসএম জজ মিয়ার মন্তব্য আসলে প্রতারক লুক্কুকে প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলেই আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে।.
তথ্য চলমান-
.
.
ডে-নাইট-নিউজ / এস.এম জজ মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম), ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আপনার মতামত লিখুন: