দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রানকেন্দ্র পাইকাড়ী কাঁচা বাজারের মদের ভাটি বসানোর অনুমোতি প্রদানের বিরুদ্ধে ফুলবাড়ী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মুখে সদ্য বসানো মদের ভাটি বন্ধ ঘোষনা করলেন উপজেলা প্রশাসন ও পৌর পরিষদ।.
গত ৫ আগাস্টের পূর্বে আওয়ামীলীগের সুবিধা ভোগী নেতা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের ডোনার তৎকালিন সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক এমপি মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের একনিষ্ঠ আস্থাভাজন ব্যাক্তি জয়রাম প্রসাদ দলিয় ক্ষমতা ব্যবহার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও পৌর তফসিল অফিসের একবারেই সামনে অন্যের জায়গায় দখল করে গড়ে তোলে দেশি মাদের ভাটি। সেখানে চলতো অনুমোদনহীন কম বয়সি মানুষের মাঝে মদের ব্যবসা। মদের খদ্দের বৃদ্ধির লক্ষে পুজা পারবনে সব বয়সি মানুষের মাঝে ফ্রিতে দেওয়া হতো মদ। বিষয়টি নিয়ে ফুলবাড়ীবাসীর ছিলো ব্যাপক ক্ষোভ। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালানোর দিন ফুলবাড়ীবাসী তাদের ক্ষোভ ঝাড়েন মদের ভাটির উপর। সেই সময় সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গুড়িয়ে দেয় তার মদের দোকান। সেই সময় সেও পালিয়ে যায় ফুলবাড়ী থেকে। এর কিছুদিন পর বিশেষ কিছু ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে ফুলবাড়ীতে ফিরে এসে আবার শুরু করেন মদের ব্যবসা। মদ বোতলে ভরে তার লোকজন দিয়ে অবৈধ্যপন্থায় ভ্রাম্যমানভাবে বিক্রয় শুরু করেন উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে।.
.
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, জয়রাম প্রসাদ ও তার স্ত্রী হীরা প্রসাদ নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃক দেশিয় মদের দোকানের লাইন্সেস আছে। যার লাইন্সেস নং ১/৮৯ স্থান-সুজাপুর,ফুলবাড়ী,দিনাজপুর। এই সুবাধে তিনি একটি ঘর ভাড়া খোজ করতে শুরু করেন কিন্তু বর্তমান সময়ে এই সব মদের দোকান বসানোর বিরুদ্ধে সব এলাকার মানুষ। এর মধ্যে তিনি পৌর বাজারের প্রাণকেন্দ্র পাইকাড়ী কাঁচা বাজারে অজিত বানিয়ার ঘর ভাড়া নিয়ে মদের ব্যবসা শুরু করেন। সেই ঘরটি ফুলবাড়ী সরকারী কলেজ বাউনন্ডারী হতে মাত্র ১৫০ গজ দুরে ও ও বাজার জামে মসজিদ থেকে ১০০ গজ দুরে অবস্থান করছে। তাছাড়া এই ঘরের পাশ দিয়ে সুজাপুর সরকারী মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন এই ঘরের পাশে জমে উঠে পাইকাড়ী কাঁচা বাজারের বেচা-কেনা।
বিষয়টি ফুলবাড়ী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীদের নজরে আসলে তারা বেশ কয়েকদিন যাবৎ ফুলবাড়ী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্থানীয় সাধারন মানুষকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করতে থাকে। আন্দোলনকারীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসকের সাথে দেখা করে অনতিবিলম্বে এই মদের ভাটি বন্ধের দাবি জানান। সেই সাথে এই রকম ঘনবসতিতে কিছাবে পৌরসভা মদ বিক্রয়ের অনুমোতি ছাড়পত্র দিতে পারে তার জবাব চান।.
.
.
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিশনানের তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা কিভাবে কার সাথে কথা বলে মদের ভাটি দেওয়া যাবে বলে মতামত দিয়েছেন তা তার কাছ থেকে লিখিত নেওয়া হবে। বর্তমানে যেহেতু স্থানীয় এলাকাবাসী কাঁচা বাজারে মদের ভাটি চাচ্ছেন না। তাই আজ থেকে এই মদের ভাটিটি বন্ধ ঘোষনা করা হলো। পুণঃ তদন্ত করে এই মদের ভাটির বিষয়ে সিন্ধান্ত নেওয়া হবে। এসময় পৌর সশাসক ও সহকারী কমিশনার ভুমি মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
.
.
ডে-নাইট-নিউজ / মো.হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
আপনার মতামত লিখুন: