পূবাইলে সাংবাদিকের জমি দখলের অভিযোগ
ডে-নাইট-নিউজ ;
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৩৮ পিএম; পূবাইলে সাংবাদিকের জমি দখলের অভিযোগ
গাজীপুর পূবাইলে সাংবাদিকের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মাইলষ্টোন কলেজের মালিক নুরন নবীর বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর পূবাইলে নয়ানীপাড়া পূবাইল রেল স্টেশনের পাশে সাংবাদিক সূর্য আহমেদ এর জমির পরের জমিটি মাইলস্টোন কলেজের উপদেষ্টা এবং মালিক জনাব নুরুন নবীর সাহেবের । সেখানে সে একটি ডেইরি ফার্ম করেছে। অভিযোগ উঠেছে সেই ফার্মের মালামাল আনা নেওয়ার জন্য তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নুরুন নবীর সাহেবের নির্দেশেই তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী পূবাইলের মেজবাহ উদ্দিন মেজো ও তার কিছু সহযোগী জোরপূর্বক ক্ষমতার জোর দেখিয়ে অন্য একটি জমির দলিল এবং মেজো নিজে টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু দলিল লেখক শ্রী নিরঞ্জন চন্দ্র দাস কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে যোগ সাজসের মাধ্যমে ১৫৬ নং একটি জাল-জালিয়াতি দলিল সৃষ্টি করেছে যে দলিলের সাথে তার বায়া দলিলের কোন মিল নেই। মেজো সেই জালিয়াতি দলিলের মাধ্যমে তৎকালীন আওয়ামীলীগের ক্ষমতার জোর দেখিয়ে সাংবাদিক সূর্য আহমেদের জমি দখল করে এবং অপর দিকে মাইলস্টোন কলেজের উপদেষ্টা এবং মালিক নুরুন নবী সাহেবের ডেইরি ফার্মের মালামাল আনা নেওয়ার জন্য মেজো ও তার অজ্ঞাত সহযোগী সকলে মিলে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এর ক্ষমতার জোর দেখিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা ও গরুর রাখার শেড তৈরি করেছিল যা এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সূর্য আমাদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একটি জমির মা – বাবা হয়েছে জমির সঠিক কাগজপএ এবং রেকর্ডের বা দলিলের বাহিরে কোন ব্যক্তির মন গড়া কথা বলার যুক্তি বা সুযোগ কারো নেই। কাগজপত্র অনুযায়ী আমার দাদা মরহুম জমির উদ্দিনের নামে সরকারি নিলামের সম্পত্তি ১১ টাকা মূল্যে কিনা সিএস ও এস এ ৭৪৪ খতিয়ানে ২৯০ দাগে – ৭৭ শতাংশ জমিটি প্রথম রেকর্ড পাই এবং পরবর্তী আর এস ১৯৯ খতিয়ানে ও আর এস ১১৮২ দাগে ৩০ শতাংশের জমি আমারা পুনরায় রেকর্ড পাই। জমির নিয়ম অনুযায়ী সি এস, ও এস এ এবং আর এস রেকর্ডের কাগজের লাইন আপ অনুযায়ী শতভাগ সঠিক এবং সব রেকর্ডে আমার দাদা মরহুম জমির উদ্দিন এর নাম রয়েছে। এবং আমার পিতা মৃত তারাজ উদ্দিন মৃত্যুর আট বছর আগে আমাদের দুই ভাই সূর্য ও রিপন কে রেকর্ডীয় আর এস ১১৮২ দাগে ৩০ শতাংশ হতে ৫ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে যায় তার ও খাজনা খারিজ সবকিছু সম্পূর্ণ। এবং আমাদের পিতা মোঃ মিন্টু মিয়ার কাছে আড়াই শতাংশ বিক্রি করেছিল তার ও খাজনা খারিজ সম্পূর্ণ। আমি স্পষ্টভাবে গণমাধ্যমের মাধ্যমে ভূমি কর্মকর্তা, পুলিশ, র্যাব এবং সেনাবাহিনী সহ দেশবাসীকে জানিয়ে বলতে চাই যে, আমাদের এই রেকর্ডীয় সিএস ও এস এ এবং আর এস ১১৮২ দাগে ৩০ শতাংশ জমির রেকর্ডীয় দাগ বা খতিয়ানে সরকারি ভাবে কোন জায়গাতে হয়রানি কারক হুমায়ুন কবির বা মাইলস্টোন কলেজের উপদেষ্টা এবং মালিক নুরুন নবী সাহেব এবং মেজো তাদের ৩ জনের কারো কোন নাম রেকডীয় ভাবে নেই। মূলত তারা অন্য জায়গার একটি ফটোকপি ৪ দাগের দলিল থেকে ৩ দাগ ভুলে ১ দাগে মৌখিক চাপাবাজির জোরে দেখিয়ে সঠিক কাগজের প্রমাণ না দেখিয়ে অযৌক্তিক ইস্যু দেখিয়ে আজ প্রায় ৮/৯ বছর আমাদের জমিটি সংবদ্ধ চক্র হয়ে দখলের পায়তারা করছে।
যেখানে তাদের দলিল ১৯৯১ সনের সঙ্গে আমাদের জমির চোহুদি,খতিয়ান এবং জমির শ্রেণী কোন কিছুই মিল নেই। এবং আসল সত্য হচ্ছে হুমায়ুন এর ১৯৯১ সনের দলিলের খতিয়ান ৩৩৭ আর আমাদের দলিলের খতিয়ান ৭৪৪ যা বলে দেয় জমিটি সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে মেজো অন্যায় ভাবে জোর জবস্তি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করে আমাদের সম্পূর্ণ আলাদা এস,এ ৭৪৪ ও আর,এস ১৯৯ খতিয়ানে ১১৮২ দাগের ৩০ শতাংশ জমিটি দখলের পায়তারা করছে। অন্য দিকে আমাদের জমি যে মেজো সহ তার অজ্ঞাত চক্র দখলের পায়তারা করছে তার চাঞ্চল্যকর অনিয়মের গোপনে ধারণকৃত ভূমি অফিসের একটি ভিডিও ফুটেজ হাতে পেয়েছি যেখানে মেজো এসিল্যান্ড অফিসে যোগসাজস করে ঘুষ দিয়ে আমাদের আর,এস ১১৮২ দাগ ও আর, এস ১৯৯ খতিয়ানে খারিজ করা জমিটি খারিজ কর্তন করিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এই জমিটি পুরো আমাদের দাদা মরহুম জমির উদ্দিনের নামে ই রেকর্ড রয়েছে যার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক আমরা। এবং আরেকটি প্রশ্ন আমি পূবাইলের গণ্যমাণ্য ব্যক্তি এবং প্রশাসনের কাছে সহ পুরো ভূমি মন্ত্রণালয় ও দেশ বাসী সবার কাছে রাখতে চাই? যদি হুমায়ুন এবং মেজোর ১৯৯১ সনের ১১০৯২ নং দলিল টি সঠিক হয় তবে কেন তারা আজ ৩৩ বছর ধরে রেকর্ড রেকর্ড পেল না? খারিজ পেল না? এতেই প্রমাণ হয় হুমায়ুন, মেজো হয়রানি কারক এবং আমাদের সিএ,এস ও এস,এ খতিয়ান ৭৪৪ এবং আর,এস খতিয়ান ১৯৯ ও আর, এস ১১৮২ দাগের ৩০ শতাংশ রেকর্ডীয় জমি সম্পূর্ণ আলাদা। এবং মৃত্যুর আগে মেজো আমাদের মরহুম পিতা কে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোটে নিয়ে ভূয়া স্বীকারোক্তি নামা রাখে এবং আমাদের ফুফুর সই টি ও মেজো জাল জালিয়াতি করে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বলছি আমাদের জমিটি যদি মাইলষ্টোন কলেজের উপদেষ্টা এবং মালিক নুরুন নবী সাহেবের প্রয়োজন হয় তাহলে সে ন্যায্য দাম দিয়ে ক্রয় করে নিয়ে যাক। আমরা ওয়ারিশ অংশীদার মালিকগণ তাকে লিখে দিয়ে দিব। আমরা চাই সামাজিক ভাবেই এর সঠিক এবং সুষ্ঠু একটি সমাধান হোক ।
এই বিষয়ে হুমায়ুন, মেজো, নিরাঞ্জন ও তাদের সংঘবদ্ধ চক্রের নামে আমরা জয়দেবপুর থানা ও পূবাইল থানায় জিডি করে রেখেছি – (জিডি নং ৪২৮,৪২৯ )
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ ইং নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি যেখানে ছাএ জনতার শ্লোগান ছিল ন্যায় বিচার। তাই আমি ও একজন গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে বৈষম্য থেকে রেহাই পেতে আমার জমিটি ছাএ জনতা এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় আমাদের সম্পত্তি টি ন্যায় বিচারের মাধ্যমে উদ্ধারে আমি পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে র্যাব সহ এবং সেনাবাহিনী সহ আমার সাংবাদিক সহযোদ্ধা সকলের আন্তরিক সহযোগিতা আমি একান্ত ভাবে কামনা করছি। দয়া করে সবাই জুলুমের স্বীকার হওয়া একজন গণমাধ্যমকর্মীর পাশে দাড়ান। মানুষ তো মানুষের জন্য। উল্লেখ্য প্রতিবেদকের কাছে সাংবাদিক সূর্য আহমেদ এর জিডি সহ তর জমির প্রয়যোজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণে রয়েছে।
.
ডে-নাইট-নিউজ /
সারাদেশ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ
আপনার মতামত লিখুন: