কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ইনানী রেঞ্জের জালিয়াপালং বনবিটের আওতাধীন বনভূমির পাহাড় কেটে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে মাটি বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। .
এসব মাটি বিক্রি করে বনভূমির উচুঁ পাহাড় সমতল করে প্লট আকারে বিক্রি করছেন তারা।চক্রটি হলো উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের জুম্মা পাড়া এলাকার মৃত সুলতান এর ছেলে নুরুল ইসলাম ড্রাইভার, ফারুক, খোদ বনবিভাগের হেডম্যান জাফর চক্র। .
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, পাহাড় কাটা চলমান রয়েছে এখনো। ফারুক নামের এক ব্যক্তিকে মাটি কাটতে দেখলে তার কাজ থেকে জানতে চাইলে জবাবে সে বলেন, আপনার কি নতুন আসছেন? বিট কর্মকর্তা এবং হেডম্যান জাফর আলমের সাথে যোগাযোগ রয়েছে আমাদের। তারা নিমিত এইখানে আসে। জুম্মা পাড়া এলাকায় রাস্তার দুপাশে ৬ টি পয়েন্টে পাহাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে বিরাণ ভূমিতে পরিণত করেছে চক্রটি। রাতে দিনে এসব পাহাড়ি মাটি কেটে নিলেও বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। .
স্থানীয়রা জানান, এই এলাকা থেকে প্রতিদিন ডাম্পার ট্রাক দিয়ে মাটি অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে নুরুল ইসলাম ড্রাইভার।সে নিজে চালক সে সুবাদে কক উখিয়া উপজেলায় আবাসিক ভবনের জন্য প্লট ভরাট, সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের নিচু জমি ভরাটের কাজে পাহাড়ের মাঠি পৌঁছে দিচ্ছে। স্থানীয়রা আরো জানায়, প্রতি ট্রাক মাঠি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১ শত টাকা। .
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৪-৫ জনের একটি সিন্ডিকেট পাহাড় কেটে সাবাড় করছেন। কিন্তু বন বিভাগ কিছুই করছে না। এব্যপারে জানতে চাইলে বিট কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন বলেন, আমরা মামলা দিয়ে যাচ্ছি এবং আমদের টহল জোরদার রয়েছে। ইনানী রেঞ্জ কর্মকর্তা তুছাদ্দেক হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা সুবিধা নিতে পরছেনা তারা বনবিভাগের বিরুদ্ধে কথাবলছে। চাইলে ও প্রমান করতে পারবেনা।.
ডে-নাইট-নিউজ / আমানউল্লাহ আনোয়ার, কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: