কন্যাশিশু মোছা. সালেহা আক্তার নাজমিন। বয়স সাত বছর ছুঁইছুঁই। যে বয়সে নাজমিনের পুতুলের সাথে খেলা করার কথা ঠিক সে সময়েই নাজমিনের জীবনের সাথে খেলা করছে মৃত্যু। দরিদ্র বাবা-মার ভালোবাসার এই ছোট্ট পুতুলের মতো বাচ্চাটি হারিয়ে যেতে বসেছে অর্থাভাবে। নাজমিনের হৃদপি-ে রয়েছে ছিদ্র। যা নাজমিনকে টানছে মৃত্যুর ঢালে। .
কন্যাশিশু সালেহা আক্তার নাজমিন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার চক মহেশপুর গ্রামের দিনমজুর বেলাল হোসেনের কন্যা। বর্তমানে নাজমিন সিরাজগঞ্জের এনায়েত কাদরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। তার ওই হৃদপি-ের ছিদ্র অপারেশনের মাধ্যমে বন্ধ করতে আড়াই লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু দিনমজুর পিতা-মাতা কিংবা তার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের পক্ষে সেই অর্থ জোগান দেয়া প্রায় নাভিশ^াস। তাই অর্থাভাবে হাসপাতালেই শুয়ে শুয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে কন্যাশিশু নাজমিন।.
কন্যাশিশুটির পিতা দিনমজুর বেলাল হোসেন জানান, ছয় সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আমি। দিনমজুরি করে ঠিক মতো মুখে খাবার রোচে না। তারওপর আবার মেয়ের হৃদপি-ে ছিদ্র। যা রীতিমতো হাঁপিয়ে তুলেছে আমাকে। ডাক্তার দ্রুত অপারেশন করতে বলেছেন। অপারেশন করতে প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা। যা জোগান দেয়ার ক্ষমতা আমার বা আমার আত্মীয়-স্বজন কারো নেই। ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর কাদরিয়া হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসা করতে বাড়ীর যা কিছু ছিল সবটাই শেষ। আমার পক্ষে আর সম্ভব না কিছুতেই তার চিকিৎসা চালানো। দেশের প্রধানমন্ত্রীসহ দানশীল ব্যক্তিদের কাছে বিনীত নিবেদন আপনারা আমার মেয়েকে বাঁচাতে আপনাদের হাত বাড়িয়ে দিন। আমি আমার মেয়েকে হারাতে চাই না। একজন পিতা-মাতার বুক খালি হতে দিবেন না কেউ। কেউ যদি সাহায্য পাঠাতে চান তবে ০১৭৭৪-২৯৪৩৯৫ নম্বরে বিকাশ পাঠানো জন্য অনুরোধ করছি।
.
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: