লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলাইমানের বিরুদ্ধে মাঠ সহকারী ও জুনিয়র অফিসার এবং ঋণ বিতরণে যাচাই-বাচাইয়ের নামে অর্থ আত্মসাত ও বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে। এ নিয়ে মাঠসহকারী ও জুনিয়র অফিসাররা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।.
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলাইমান গত ২৮আগস্ট এ শাখায় যোগদান করেন। যোগদানের পর নতুন মাঠসহকারী ও জুনিয়র অফিসারদের একটি বাড়ি একাটি খামার প্রকল্প হতে ব্যাংকে স্থানান্তরের জন্য বেতন ভাতা ও লাঞ্চ সাবডিসি উত্তোলনের জন্য ২হাজার টাকা করে কর্তন করে রেখেছেন। টাকা কেন রেখেছেন জানতে চাইলে সোলাইমান তার স্বাক্ষরে তাদের টাকা উত্তোলন হয়েছে বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।.
এ ছাড়া ঋণ বিতরণে তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তার যোগদানের পর থেকে ঋণ বিতরণে সদস্যদের কাছ থেকে যাচাই-বাচাইয়ের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। যে সব সদস্য উৎকোচ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাদের ফাইলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। এতে গ্রাহকদের মাঝে অসন্তোস দেখা দিয়েছে। মুহাম্মদ সোলাইমান নিজকে সরকারি দলের কেন্দ্রিয় নেতা এবং এক সাংসদের ভাতিজা দাবি করে নিজের আধিপত্ত বিস্তার করছেন।.
কথায় কথায় অফিসের কর্মচারীদের গালমন্দ ও চাকরীচ্যুত করার হুমকিসহ নানা অপকর্মের কারণে কিছু দিন আগে চাকরীও ছেড়েছেন ওই অফিসের এক নারীসহ দুই জন মাঠসহকারী। এ ছাড়াও অফিসের সকল কর্মচারীদের কাছ থেকে নিজের জন্মদিন পালনে জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাঠসহকারি জানান, শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলাইমান যোগদানের পর থেকে অফিসের সকল কর্মচারীদের জিম্মি করে বিভিন্ন ভাবে টাকা আদায় করছেন। ঋণ বিতরণে টাকা না দিলে ফাইলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। এতে মাঠ পর্যায়ে আমরা মাঠসহকারিরা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। উপায়ন্ত না পেয়ে অফিসের সকল স্টাফ তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য হয়। এ বিষয়ে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলাইমানের কাছে এ সব অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এছাড়াও তার সাথে দেখা করার জন্য তিনি এ প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।.
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক জেলা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চক্রবর্তী জানান, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনো পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলাপ্রতিনিধি)
আপনার মতামত লিখুন: