হাফিজুর রহমান (৪২) গত ০৫ অক্টোবর নিজ বাড়ী থেকে দূর্গাপুজার উৎসব দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়। রাতে বাড়ি ফিরে না আসলে তার ছোট ভাই ফোনদিলে ফোন বন্ধ পায় এবং বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে গত ০৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখ হরিনাকুন্ডু থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করে। .
পরবর্তীতে গত ০৯ অক্টোবর ২০২২ তারিখ হরিণাকুন্ডু থানাধীন কেষ্টপুর গ্রামের দুবলাকুড়ির কাটাখালের পাশে একটি ফাকা জমিতে এলাকার কিছু লোকজন রক্তের দাগ দেখতে পায়। স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে মাটি কেটে পায়ের কিছু অংশ দেখতে পায়। বিষয়টি র্যাব-৬ জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশ এবং র্যাব জনসাধারনের সহায়তায় মাটি খুড়ে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় অর্ধগলিত, দুই হাত-পা বৈদ্যুতিক ক্যাবল দিয়ে বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে।.
উদ্ধারকৃত লাশের পলিথিন খোলার পর মাথার পেছনের অংশে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন দেখা যায় এবং পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পেটের নাড়িভুড়ি বের হওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়। ভিকটিমের ছোট ভাই জাফিরুল ইসলাম (৩৬) উক্ত লাশটি দেখে সনাক্ত করেন এবং বাদী হয়ে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।.
উক্ত চাঞ্চল্যকর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর হতেই র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী এবং অন্যতম সহযোগী আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার সাধুহাটি বাস টার্মিনাল এলাকায় পালানোর উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। .
তথ্যের ভিত্তিতে ১১ অক্টোবর ভোর সাড়ে ০৫ টার সময় আভিযানিক দলটি সাধুহাটি বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং অন্যতম সহযোগী আসামী ১। মোঃ সেকেন্দার আলী (৪০), উভয় থানা-হরিণাকুন্ডু, জেলা-ঝিনাইদহদ্বয়কে গ্রেফতার করে।.
করে।গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। উক্ত হত্যা মামলার অন্যান্য সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের অভিযান অব্যহত রয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: