সূর্য আহমেদ মিঠুন - বিশেষ প্রতিনিধি : বলা হয়ে থাকে ব্যবহার আর কর্ম দিয়ে মানুষ চেনা যায়, মানুষ দিয়ে ব্যবহার বা কর্ম নয়। দুনিয়া কেবল অস্থায়ী জায়গা যারা এই কথাটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করে তারাই হয় সৎ আন্তরিক। বলছিলাম সৎ আন্তরিক চৌকস ব্যক্তি তিতাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ কথা। যিনি তিতাসের এমডি পদে দায়িত্ব গ্রহনের পর অত্যন্ত সততা ও আন্তরিকতার সাথে তার দায়িত্ব তিনি পালন করে যাচ্ছেন। তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর, গ্যাসক্ষেত্রটি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখান থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় এপ্রিল ১৯৬৮ সালে। তিতাসের অন্তর্ভূক্ত এলাকাগুলো হলো বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ বিভাগ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেই অত্যন্ত সততা, কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে এগিয়ে নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটিকে। দীর্ঘদিন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, নিম্নমানের গ্রাহকসেবার অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে তার নেতৃত্বে এসব অভিযোগ কমে এসেছে অনেকাংশে। তিতাসের লক্ষ- প্রাকৃতিক গ্যাসের দক্ষ ও নিরাপদ বিতরণ এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদান ।.
.
প্রাকৃতিক গ্যাসের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ। গ্যাস বিপণনে সুশাসন নিশ্চিতকরণ। উপরোক্ত বিষয়ে একই সাথে সুর মিলিয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, সততার সঙ্গে আমার আমাদের দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। আর তাই অবৈধ সংযোগ আছে ততক্ষণ অভিযান চলবে। কোনো ছাড় নেই। এ ধরনের কাজের সঙ্গে যদি কোনো কর্মকর্তাও জড়িত থাকেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, তিতাসের এলাকায় এখন সঞ্চালন লাইন অনেক পুরোনো হয়ে গেছে। সেগুলোর স্থানে নতুন লাইন বসানো হবে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ, জয়দেবপুরসহ যেসব এলাকায় শিল্পকারখানা রয়েছে, সেখানে নতুন পাইপলাইন বসানো হবে। যাতে শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকে। পাশাপাশি পাইপলাইনে সার্বিক বিষয় দেখভাল করতে স্ক্যাডা সিস্টেম বসানো হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট বিতরণ ব্যবস্থা হবে, ধীরে ধীরে সব কাজও ডিজিটাইজেশন করা হবে। অপর দিকে প্রতিনিয়ত তাকে লড়াই করতে হয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালদের সাথে। কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী কখনো রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেগে থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন।অন্যদিকে তিতাস গ্যাসের বিশাল অঙ্কের বকেয়া বিল আদায়ে গ্রাহককে সচেতন করা সহ বকেয়া আদায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। প্রকৌশলী মো: হারুনুর রশীদ মোল্লাহ ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো তিতাসের এমডি হিসেবে এক বছরের জন্য নিয়োগ পান। মেয়াদ শেষে দ্বিতীয়বারের মতো তাকে আরও এক বছরের জন্য একই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর তৃতীয়বারের মতো আরও এক বছরের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।.
.
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দুই বছরে অনিয়ম, অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ৯ জনকে বরখাস্তসহ মোট ৭৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ২৮৩ জনকে নানা অভিযোগে বদলি করা হয়েছে। প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ পাপ কে ভয় পান। উদারতায় মানুষের মনে শান্তি আসে। পক্ষান্তরে সংকীর্ণতা মনের কষ্ট বাড়ায়। একজন সাদা মনের মানুষ সৃষ্টিকর্তাকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পান না। তার দপ্তরে সহকর্মীদের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ,তার ব্যবহার, আচার-আচরণ সবাইকে যেমন আকৃষ্ট করেছে তেমনি পেশাগত দায়িত্ব পালনে ও তিনি সততার প্রতীক। বিন্দু মাএ অহংকার নেই তার। সকলেই তার সততায় পঞ্চমুখ। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ ডে-নাইট নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি সূর্য আহমেদ মিঠুন এর সাথে কথা হলে, তিনি জানান আমি আমার দায়িত্ব কে ইবাদত মনে করি। যতদিন আছি আমি আমার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও আন্তরিকতা দিয়ে পালন করে যাবো ইনসাআল্লাহ্.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: