চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নানা ঘটনা দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে চলছে দেশের পরিস্থিতি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি হামলার শিকার হয়। এই হামলা থেকে বাদ যায়নি বিশ্বনাথ থানাও। ৫ই আগস্ট বিকেলে বিশ্বনাথ থানায় হামলা করে দুর্বৃত্তরা। থানা ফটকের গেইট খুলে ভিতরে প্রবেশ করে উৎশৃংখল জনতা। এসময় পুলিশ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আগেই ভাংচুর ও গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় তারা। মূল কম্পাউন্ড সহ অন্যান্য স্থাপনায় ও ব্যাপক ভাংচুর করা হয় এসময়। এক পর্যায়ে পুলিশ জীবন রক্ষার্থে থানা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। পুলিশ শুন্য হয়ে পড়ে বিশ্বনাথ থানা। পুলিশ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।.
.
দেশের অদ্ভুত পরিস্থিতিতে পুলিশ দেশব্যাপী কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে এবং বিশ্বনাথ থানায় কর্মরত সকল পুলিশ ও কর্মবিরতিতে চলে যায়। এরপর পুলিশের শীর্ষ পর্যায় থেকে কর্মস্থলে ফেরার নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়ার পরও ১০ই আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বনাথ থানায় কর্মস্থলে কোন পুলিশ যোগদান করেননি। .
.
রবিবার ১১ ই আগস্ট বিকেল ৪ ঘটিকায় সরজমিনে থানায় গিয়ে জানা যায় আজ পুলিশের কার্যক্রম চালু করার লক্ষে বিশ্বনাথ থানায় ১০-১২ জন পুলিশ যোগদান করেছেন। থানার প্রবেশ ফটকে এখনও আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাহারারত রয়েছেন। তাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বনাথ পুলিশের কর্মকর্তা থানা ইনচার্জ ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, আমরা ১০/১২ জন আজ যোগদান করেছি বাকিরাও শীঘ্রই যোগদান করবে। থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে দুই একদিন সময় লাগবে.
.
এদিকে বিশ্বনাথ থানা ও উপজেলার সচেতন নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একাধিক স্থানে বৈঠক ও সমন্বয় সভা করে তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এপর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোন সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা বা আক্রান্তের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।. .
ডে-নাইট-নিউজ / বিশ্বনাথ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: