সাং সোনাশার, ইউপি তালশহর পূর্ব থানা ও জেলা - ব্রাহ্মণবাড়িয়া। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসায়ী আমির মিয়া আন্দিদিল গ্রামের মাদক সম্রাট ইকবালের সহযোগীতায় মাদক ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে, এ যেন দেখার কেউ নেই। অনুসন্ধানে জানা যায় বিগত ৩০-০৪-২২ইং তারিখে মাদক ব্যবসায়ী আমিরের বড় ভাই জাকির মিয়া মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আমিরকে চাপ দিলে আমির ভাইয়ের আচরণে ক্ষুব্দ হয়ে আপন ভাইকে মারধর করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জানাজানি হলে, আমির সুযোগ বুঝে জাকিরের স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। জাকির মিয়ার স্ত্রী বাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।.
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর থানার এসআই শওকত সাহেব তদন্ত করে সত্যতা পায়। এদিকে বাড়িতে জাকিরের মেয়ে ঝরণা (১৫) একা পেয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে দেয় মাদক সম্রাট আমির। ঝরণার আত্ম চিৎকারে আশে পাশের বাড়ির মানুষ কেউ আসেনি বলে জানায় ঝরণা বেগম। অবস্থা খারাপ দেখে ঝরণার বাবা জাকির কে ফোন করে বলেন, আপনার ভাই আমাকে মেরে ফেলে দিবে, আমাকে বাঁচান আব্বা এই বলিয়া কান্না করিতে থাকে।.
রিশকা চালক জাকির ঐ ঘটনা একজন সাংবাদিককে জানালে, সাংবাদিক বলেন আপনার মেয়েকে বলেন ৯৯৯ এ ফোন দিতে। সাংবাদিকের কথায় ৯৯৯ ফোন দিলে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বাহিনী-মাদক সম্রাট আমিরের কবল থেকে জাকিরের মেয়ে ঝরণাকে উদ্ধার করে জাকির মিয়ার নিকট বুঝিয়ে দেয়। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় জাকির মিয়ার মেয়ে ঝরণা বেগম এই ঘটনা সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন মহোদয়কে অবগত করেন। সার্কেল মহোদয়ের নির্দেশে বাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার সকল এসআইগণ আমিরকে গ্রেফতার করিতে একাধিকবার তার বাড়িতে রাত দুপুরে-দিন দুপুরে পুলিশ খুঁজে বেড়ায়। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ী আমিরের বাহিনীর নিকট পুলিশ ০ বাহিনী বলে মনে হচ্ছে।.
তথ্য অনুসন্ধানে খুঁজ নিয়ে জানা যায়, আমির কোন সাধারণ মানুষ নয়-তার দলে রয়েছে বহুমুখী রূপের অপরাধী যেমন, আমির মিয়ার বড় ভাই নাজির মিয়ার ছেলে ইয়ামিন বয়স-১৯ আমির মিয়ার মাদক কেরিং করার জন্য ইয়ামিনকে একটি অটোরিকশা কিনে দেয়, ঐ অটোরিকশা যোগে আখাউড়ার বর্ডার এলাকা থেকে সিটের নিচে করে গাঁজা, ফেন্সিডিল স্কুপ সিরাপ আমদানী করে বলে তথ্য দেয় অত্র এলাকার মাদক সেবন কারিরা।.
এদিকে আন্দিদিল এর মাদক সম্রাট ইকবাল আমিরকে দেয় ইয়াবা টেবলেট আর আমির ইকবালকে দেয় গাঁজা, এ বিষয়ে সাং সোনাশার, মহনপুর, অষ্টগ্রাম, আন্দিদিল, পুথাই, মৈশাইর, খরিয়ালা বাজারে সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এই সকল মাদক কারবারীদের কারণে স্কুল-কলেজের ছাত্র যুব সমাজ নেশার করাল গ্রাসে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এদিকে খুঁজ নিয়ে জানা যায়, আমির একজন মটরসাইকেল চোর এবং গরু চোরও বটে। কিছুদিন আগে একটি গরু চুরির বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য সাহেব সরদারগণ গরু চুরির দায়ে তাকে জরিমানা করে। এ বিষয়ে মনির চেয়ারম্যান সাহেব অবগত আছেন। আমিরের ভাই জাকির, চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট অভিযোগ করেন।.
আমার ঘরে রক্ষিত ফ্রিজ/আলমারি/পাখা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র আমির নিয়ে যায় খালি বাড়ি পেয়ে। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব একাধিক বার আমিরকে নোটিশ পাঠায় কিন্তু আমির এগুলির কোন কর্ণপাত করেনি। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সাহেব বলেন আমি চেষ্টা করে দেখি সে আমার নিকট আসে কিনা। খুঁজ নিয়ে জানা যায়, জাকিরের অভিযোগে আসামী করা হয়েছে পাঁচজনকে, স্বাক্ষী করা হয়েছে দুইজনকে, আমির মিয়ার মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত মোঃ ইউছব মিয়া পিতা মৃত সুলতান মিয়া সাং ধানশ্বর পূর্ব পাড়া, শাহিন মিয়া পিতা হাসেম মিয়া সাং সোনাশার, রব্বানী পিতা মৃত মিন্নত আলী সাং ধানশ্বর, মোছাঃ শানু বেগম (৩০) স্বামী মৃত নাজির হোসেন, মোছাঃ শাকিলা বেগম (২০) স্বামী আমির মিয়া, মোছাঃ সাফিয়া বেগম আমিরের গর্ভধারিণী মা, এ বিষয়ে ক্রাইম রিপোর্টার সরেজমিনে তদন্ত করতে মাঠ পর্যায়ে অবস্থান করলে আমির মিয়ার বাড়িতে একদল সাংবাদিক আমির মিয়ার সাক্ষাতকার নেয়।.
সাংবাদিকদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় কর্মরত একজন এসআই এর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রধান করে ইয়াবা সম্রাট আমির পুলিশকে দমন করার অপচেষ্টা করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রধান করে এটাই প্রমাণ করে মাদক ব্যবসায়ী আমির মিয়ার গডফাদার ইয়াবা সম্রাট ইকবাল খুবই শক্তিশালী। অত্র এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ বলেন, ইকবাল মাদক ব্যবসায়ী, আমির মাদক ব্যবসায়ী। এদের রয়েছে সিকিউরিটি গার্ড যখনই পুলিশ এলাকাতে প্রবেশ করে তখন ঐ গার্ডগণ আমির এবং ইকবালকে সতর্ক করে দেয়।.
যার কারণে পুলিশ ইয়াবা মাদক কারবারীদের গ্রেফতার করতে পারে না। আমির মিয়ার নামে হেফাজতের মামলা সহ চুরি ছিনতায় একাধিক মামলা আছে বলে পুলিশ জানায় এবং ইকবালের নামে একাধিক মাদক মামলা আছে বলে তথ্য দেয় সাধারন মানুষ। সাধারন মানুষের সাথে আলাপকালে কয়েকজন বলে উঠে ডিবি অথবা সিআইডি এদের গ্রেফতার করতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস। অতি শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হউক এলাকাবাসীর দাবী।. .
ডে-নাইট-নিউজ / এস.এম জজ মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম), ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
আপনার মতামত লিখুন: