টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকা থেকে শিক্ষার্থীসহ আটজনকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনার চারদিনের মাথায় জনপ্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ মুক্তিপণ পরিশোধের পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।.
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে তারা ছাড়া পান বলে নিশ্চিত করেছেন বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন। তবে কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এ বিষয়ে মুখ খুলছে না ভুক্তভোগীদের পরিবার।.
অপহৃত সেলিমের বড় ভাই আকতার হোসেন জানান, অপহরণের পর থেকেই জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিলেন অপহরণকারীরা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ে তল্লাশি চালানোয় এবং সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন করায় ক্ষিপ্ত হয়ে অপহৃতদের ওপর নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তরা। তাদের চাহিদা মতো টাকা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করার পর বৃহস্পতিবার ২টার দিকে অপহৃতদের নিয়ে জাহাজপুরা গর্জন বাগানের কাছাকাছি আসেন অপহরণকারীরা। সেখানেই ভুক্তভোগীদের পরিবার টাকা হস্তান্তর করার পর অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।.
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, অপহৃতরা এলাকায় এসেছে জানার পরপরই তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ভিকটিমরা জানিয়েছেন, তাদের পাহাড়িছড়ার ভেতর বেঁধে রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন সময় তাদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।.
তবে টাকা পরিশোধের বিষয়টি অবগত নন বলে জানিয়েছেন ওসি।.
এদিকে, ওই আটজনকে অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপহৃত কলিমুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।.
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জাহাজপুড়া পাহাড়ের ভেতর পানির ছড়া থেকে আটজনকে অপহরণ করা হয়।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: