• ঢাকা
  • শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

রাজধানীতে প্রকাশ্যে ইমন-রিয়াদ চক্রের প্রতারণা


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১:২৩ এএম;
রাজধানীতে প্রকাশ্যে ইমন-রিয়াদ চক্রের প্রতারণা
রাজধানীতে প্রকাশ্যে ইমন-রিয়াদ চক্রের প্রতারণা


ক্রাইম রিপোর্টার কবির হোসেন শান্তঃ কথিত ভুয়া ফাউন্ডেশনের নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির হোতা ডাঃ ইমন ও রিয়াদ। ইমনের তথাকথিত সংগঠনের নাম ইচ্ছা পূরণ। অন্যদিকে রিয়াদের ভুয়া উদ্যোগের নাম স্বপ্নের আশা পূরণ। বাস্তবে কোনোটারই ভিত্তি নেই। রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তুলে আনা ছেলে-মেয়েদের দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন এই দুই প্রতারক চক্র।
হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা” বিভিন্ন সময় দুস্থদের সহায়তা ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে সহায়তার নামে চলে প্রতারণা। চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকার মালিক বর্তমানে এই দুই প্রতারক। বিন্দুমাত্র বৈধতা নেই তাদের কার্যক্রমের । সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর কাকরাইল, বিজয়নগর পান্থপথ, গুলশান, বাসাবোসহ বিভিন্ন জায়গায় পথচারীদের বিঘ্ন ঘটিয়ে চাঁদা আদায় করেন। এতে অনেক সময় অনেক পথচারী বিব্রত হন বলে অভিযোগ করেন । কথিত ডাঃ ইমন একেই অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলো।
এই ইমনই হচ্ছে ইচ্ছা পূরণ সংগঠনের প্রধান হোতা। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সে আবারও একই প্রতারণায় লিপ্ত রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে রীতিমত প্রতারণার খেলায় মেতে উঠেছে এই ইমন চক্র। এ যেন দেখার কেউ নেই। কাউকে পরোয়া করার সময় তাদের নেই। অন্যদিকে রিয়াদ নিজেকে স্বপ্নের আশা পূরণ সংগঠনের অধিকর্তা মনে করলেও প্রকৃতপক্ষে তার জন্ম পাকিস্তানে। বাংলাদেশের মাদারীপুরে তার বাড়ির পরিচয় দিয়ে থাকে।
জামাত-শিবিরের সাথে এদের সম্পৃক্ততা ও জোকসাজের অভিযোগ রয়েছে। একই সাথে বিলুপ্ত হওয়া যুবকের ভাবধারায় পরিচালিত এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের সাথে বিভিন্ন জংগী অর্থায়নের বিষয় তদন্তের দাবি করেন অনেকে।  প্রতারক রিয়াদ নিজেকে রক্ষার কৌশল হিসেবে এক নারী নেত্রীকে তার সাথে যুক্ত করে নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের সংগঠনগুলি প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ ছাড়া মানব কল্যাণে কোন কাজ-ই করেনা। এবং সংশ্লিষ্ট কাজ করার জন্য কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র বা অনুমতি পত্র বলতে কিছু নাই । প্রকাশ্যে জন বিড়ম্বনাকর এসব প্রতারকদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করা জরুরী বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে তারা সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য যে, তাদের এই ভিক্ষাবৃত্তি বিদেশি অতিথি পর্যটকদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন করে। বেড়াতে আসা অতিথিদের গতিরোধ করতেও পিছপা হয় না এই প্রতারক চক্রের সহযোগিরা।.

.

ডে-নাইট-নিউজ /

অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ