রামগতিতে রাতের আঁধারে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধের পাথর বিক্রি

ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০২:১৮ পিএম;

রামগতিতে রাতের আঁধারে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধের পাথর বিক্রি

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের পাথর ও বালু বিক্রি করার সময় হাতেনাতে ৩ টি পাথরবর্তী ট্রাক্টর টলি আটক করেন পুলিশ। এসময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।.

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সেবাগ্রাম মেঘনার তীর থেকে এ পাথরগুলো গোপনে বিক্রি করা হয়। এসময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস বিল্ডার্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার মোজাম্মেল হক ও ট্রাক্টর মালিক মাঈন উদ্দীন পালিয়ে যায়।.

স্থানীয়রা জানান, রাত ঘনিয়ে আসলেই প্রতিনিয়ত ট্রাকে ট্রাকে বিক্রি হতো মেঘনার তীর সংরক্ষন বাঁধের পাথর ও সিলেকশন বালু। গত তিন মাস ধরে এমন ঘটনা ঘটলেও অবশেষে স্থানীয় জনতা হাতে-নাতে আটক করেছে তিনটি ট্রাক্টরট্রলি। পালিয়ে গেছে আরো ছয়টি ট্রাক্টরট্রলি এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস বিল্ডার্স কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজারসহ লোকজন । নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের ব্লক বানাতে আনা এসব পাথর বালি বিক্রির সাথে সম্পৃক্ত বিশ্বাস বিল্ডার্স কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোজাম্মেল হক, স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দীন ও রায়হান।.

বালু ব্যাবসায়ী মাঈন উদ্দীন জানান, থানায় আটক তিনটি পাথরসহ ট্রাক্টর টলি তার। তিনি এসব টলি ভাড়া দিয়েছেন। রামগতি পৌরসভার রিফাত নামের এক উপসহকারী মাধ্যমে প্রতি ফুট পাথর ১৮৫ টাকা করে ফারুক নামের আরেক ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করেন। এ পাথরগুলো নদীর কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান " বিশ্বাস বিল্ডার্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানির"। প্রতিষ্ঠানটির প্রজেক্ট ম্যানেজার মোজাম্মেল হকের যোগসাজশে চক্রটি পাথরগুলো কম দামে অন্যত্র বিক্রি করেন। দু'পক্ষেরই ম্যাধম হিসেবে ছিলেন ট্রাক্টর মালিক ও বালু ব্যবসায়ী মাঈন উদ্দীন। তিনি জানান, এসব পাথরগুলো মেঘনারর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজের জন্য আনা হয়। কমদামে পাথরগুলো বিক্রি করাই অন্য ঠিকাদার এ পাথরগুলো নিয়ে রামগতি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ড্রেনের কাজে ব্যবহার করেন।.

উল্লেখ্য যে, লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলা রক্ষায় সরকার মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের নামে ৩ হাজার ১ শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। যার কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় তীর রক্ষা বাঁধের পাথর ও বালু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অসাধু কর্মকর্তা ও স্থানীয় একটি চক্র রাতের আঁধারে গোপনে বিক্রি করে দেন। .

স্থানীয়রা জানান, ১২ জুন বুধবার দুপুরের পর থেকে নয়টি ট্রাক্টরট্রলিতে পাথর ও সিলেকশন বালু অন্যত্র নেয়ার ফলে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এসব পাথর ও বালি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। নদী বাঁধের কাজে আনা এসব পাথর ট্রাক্টরট্রলিতে করে জমানো হচ্ছে রামগতি পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিক্ষাগ্রামের উপজেলার পরিষদের পেছনের খোলা মাঠে।ওখান থেকেই ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি) :