অন্ডকোষে পানি জমার কারণে অপারেশনের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আবুল কালাম। দুইদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর প্রেসার না কমায় রোগীর ছাড়পত্র দেন ডাক্তার। কিন্তু বদল হয়ে অন্যজনের ছাড়পত্র আবুল কালামের হাতে ধরিয়ে দেন ওয়ার্ডবয়। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। ভুল ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন হাইড্রোসিলের রোগী আবুল কালাম। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে। .
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া বাজারের মৃত সাধু মিয়ার ছেলে গত ৭ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে অপারেশনের জন্য ভর্তি হন। অনিয়ন্ত্রিত প্রেসারের কারণে সার্জারি চিকিৎসক ডাঃ কাফি অপারেশন স্থগিত করে ৯ নভেম্বর ওষুধ লিখে রোগীর ছাড়পত্র দেন। .
কিন্তু দায়িত্বরত ওয়ার্ডবয় আবুল কালামের ছাড়পত্রের বদলে আবু কবর নামে এক রোগীর ছাড়পত্র হাতে ধরিয়ে দেন। আবুকবর তীব্র পেটে ব্যাথা (একুইট এ্যাবডোমেন) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বাড়ি ফিরে আবু বকরের ছাড়পত্রে লখা ওষুধ কিনে সেবন করেন আবুল কালাম। ওষুধ সেবনের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রæত তাকে গোয়ালপাড়া বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে প্রেসারের ওষুধ সেবন করানো হয়। .
আবুল কালাম শনিবার বিকালে জানান, “আমার ছাড়পত্রে প্রেসারের ওষুধ লেখা ছিল, আর আবু বকরের ছাড়পত্রে হাই এন্টিবায়োটিক”। মুলত হাই এন্টিবায়োটিক সেবন করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে তিনি উল্লেখ করেন”। প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম রবি বলেন, হাসপাতালের ছাড়পত্র বদলের কারণে আবুল কালাম ভুল ওষুধ সেবন করে। এতে তার প্রেসার বেড়ে যায়। .
এমন ভুলের কারণে রোগীর তো মুত্যুও হতে পারতো। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, এমনটি ঘটে থাকলে খুবই দুঃখজনক ও বেদনা দায়ক ঘটনা। তবে ভিড়ের কারণে হয়তো ছাড়পত্র বদলের ঘটনা ঘটতে পারে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হবে বলে তত্বাবধায়ক জানান। .
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: