লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর থেকে সদ্য বদলী হওয়া জেলা ড্রাগ সুপার সুশীল কুমার ঢালী ও অফিস সহায়ক (আউট সোসিং) আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে ড্রাগ লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিভাগীর তদন্ত চলছে। শনিরার সকাল এগারটায় ঔষধ প্রশাসন লক্ষ্মীপুর এর জেলা কার্যালয়ে এ তদন্ত কার্যক্রম চলে। এসময় অভিযোগকারী হুমায়ুন কবিরও উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত সুশীল কুমার ঢালী বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা ঔষধ প্রশাসনে কর্মরত ও আমীর হোসেনকে চাকুরী হতে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের ১লা জানুয়ারী সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের কালিবৃত্তি নতুন বাজারের আহম্মেদ ফার্মেসীর মালিক হুমায়ুন কবির টাকা দিয়েও ড্রাগ লাইসেন্স না পাওয়ায় সুশীল কুমার ঢালী ও আমীর হোসেনের বিচার চেয়ে মহা পরিচালক, ঔষধ প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ কররেন। অভিযোগের পেক্ষিতে ১০জানুয়ারী ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ১৪জানুয়ারী সকালে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য নেন এবং সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তদন্ত পরবর্তীতে অভিযোগকারী হুমায়ুন জানিয়েছেন, তদন্ত কর্মকর্তার সামনেই ড্রাগ সুপার সুশীল কুমার ঢালী আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে উপস্থিত কর্মকর্তদের হস্থক্ষেপে তিনি নিবৃত হন।
জানতে চাইলে তদন্ত টিমের কোন সদস্যই উপস্থিত সাংবাদিকদের বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেও অভিযুক্তদের সাথে নিয়েই শহরের হোটেল নুরজাহানে গোপন বৈঠক ও ভুড়িভোজ করেন। এবিষয়ে অভিযুক্তরাও কোন কিছু বলতে নারাজ ছিলেন।
.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: