লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ দিয়ে ১০ লাখ টাকার মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি গত ১০ই মে মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে ঘটে। এঘটনায় প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের এবং পরবর্তীতে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলায় জাকির হোসেন রঞ্জু (২৭), মোঃ রেদোয়ান (২১) রেহানা বেগম (৪৮) কে আসামি করা হয়। আসামিরা একই বাড়ির আবুল কালামের ছেলে ও স্ত্রী এবং ভুক্তভোগীর ভাতিজা ও ভাবি।.
ভোক্তভোগী ডাক্তার আবুল ফয়েজ ভূইঁয়া ওই বাড়ির মৃত হামিদ উল্যাহ ভূঁইয়ার ছেলে ও লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)। স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ডাক্তার আবুল ফয়েজ ভূইঁয়া সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর পেনশনের টাকা দিয়ে নিজস্ব ও ইজারা নিয়ে কয়েকটি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। শুরুতেই অভিযুক্তরা পুকুর ছেড়ে দিতে বার বার চাপ সৃষ্টি ও হুমকি ধুমকি দেয়।.
অন্যথায় বিষ দিয়ে পুকুরের মাছ মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী বিষয়টি স্থানীয় লোকজন কে জানান। পরে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতের অন্ধকারে পুকুরে বিষ ঢেলে দেয় অভিযুক্তরা। বিষয়টি টের পেয়ে ভোক্তভোগী আসামীদের দিকে টর্চ লাইটের আলো দিলে তারা এদিক সেদিক দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয়রা তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন শুধু মাছ না প্রয়োজনে তাকে খুন করে ফেলবো। মাছ চাষ তো দূরের কথা তাকে বাড়িতেই থাকতে দিবো না।.
এবিষয়ে ভোক্তভোগী ডাক্তার আবুল ফয়েজ ভূইঁয়া বলেন, আসামিরা আমার ভতিজা ও ভাবি হয়। চাকরির সুবাধে আমি বাড়ির বাহিরে থাকায় তারা আমার জায়গা-জমি ভোগ করে। চাকরি থেকে অবসরে এসে জায়গা-জমি বুঝে নিতে গেলে তারা আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং একাধিক বার আমাকে পিটিয়ে আহত করে। সম্পত্তি দখল করতে না পেরে তারা রাতের অন্ধকারে আমার পুকুরে বিষ দিয়ে ১০ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলে। আমি এঘটনার ন্যায় বিচার চাই।.
এবিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করতে তাদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি, পরবর্তীতে জাকির হোসেন রঞ্জু ও মঞ্জুর রহমানের মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।.
ডে-নাইট-নিউজ / লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: