চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় ৫০০ নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত আছেন। তারপরও বিমানবন্দরটির ভেতরে স্পর্শকাতর স্থানে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসে শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৩টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। .
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গত ২ ডিসেম্বর লাইটিং সিস্টেমের ২০০ ওয়াটের ৫টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়। এর দুদিন পর অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর লাইটিং সিস্টেমের সর্বশেষ প্রান্তে ২০০ ওয়াটের ১৫টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে যায়। ৯ ডিসেম্বর একই এলাকায় তার কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় কর্মচারীরা এক চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।.
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম একের পর এক চুরির ঘটনা স্বীকার করে বলেন, বিমানবন্দরের রানওয়ের ঝোপঝাড় এলাকায় এসব চুরি হচ্ছে।.
বিমানবন্দর-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ মালপত্র চুরির কারণে এখানকার ভয়েস ওভার রেটিং (ভিওআর), ইকুইপমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস), গ্লাইডপাথ (জিপি), পাওয়ার হাউস, এসি প্ল্যান্ট, ট্রান্সমোটিং স্টেশন, রাডার, এয়ার ফিল্ড ল্যান্ড (এএফএল) স্টেশন, এমনকি কন্ট্রোল টাওয়ারও বিকল হয়ে যাচ্ছে। এতে রানওয়েতে উড়োজাহাজ ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে।.
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব সিকিউরিটি রয়েছে ১৭০ জন। বিভিন্ন শাখা থেকে সিকিউরিটি শাখায় আরও অতিরিক্ত ৮ জন কাজ করেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে আনসার সদস্য রয়েছেন ২০০ জন। আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য রয়েছেন ১০০ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় রয়েছে একটি পুলিশ ফাঁড়ি। সাড়ে ১০ হাজার বর্গফুটের বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় সিসিটিভি রয়েছে। এত নিরাপত্তাকর্মী থাকার পরও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চুরি থামছে না। বিষয়টি রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কর্তৃপক্ষের।.
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: