দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-এর ব্রেভ প্রকল্পের উদ্যোগে সম্প্রীতির বাগেরহাট জেলা গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে ইমাম, পুরোহিত, যাজক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত। ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত দিনব্যাপি এই কর্মসূচিটি বাগেরহাট লেডিস ক্লাবে তিন উপজেলার ৬০ জন বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রবীন শিক্ষাবীদ প্রফেসর মোজাফ্ফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফকিরহাট উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব স্বপন কুমার দাশ, বাগেরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বিরুল ইসলাম, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি ও ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ শহরের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ, জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত এবং গীর্জার যাজক উপস্থিত ছিলেন।.
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু। সভায় বক্তারা একটি সম্প্রীতির জেলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আন্ত:ধর্মীয় সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, সকল ধর্মই মানবতার কথা বলে, মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা বলে। ধর্ম কখনও মানুষের প্রতি অক্রমনত্বক অচরণ করার কথা বলে না বরং ধর্মীয় অনুভুতি সম্পন্ন মানুষ সকলসময় সকল ধর্মের মানুষের প্রতি সহনশীল হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন “সকল ধর্মের মূল বিষয় হচ্ছে শান্তি ও সম্প্রীতি, কোনো ধর্মই সংঘাতের কথা বলে না।.
আমরা যে ধর্মেরই অনুসারি হইনা কেন পরষ্পরের প্রতি পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ধরে রাখতে পারলে আমরা একটি মর্যাদাপূর্ণ মানবিক সমাজ গড়তে পারবো। ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ বলেন, “সংবিধানের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের ধর্মীয় নেতারাই পারে একটি সম্প্রীতির সমাজ গড়ে তুলতে”। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বলেন,“একজন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মানুষ কোনো সময় অন্য ধর্মের মানুষের প্রতি সহিংস হতে পারেন না।.
ধর্মীয় অনুশাসন মানুষকে পরিশুদ্ধ করে তোলে, এই শিক্ষা আমাদের ধর্মীয় নেতারা প্রচারের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখবেন। অনুষ্ঠানে ধর্মীয় নেতারা নিজ নিজ ধর্মগ্রন্থ থেকে উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে ধর্মের ব্যখ্যা ও সম্প্রীতির বাণী তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে সকলেই একটি সম্প্রীতির বাগেরহাট জেলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে একটি সম্প্রীতির ঘোষণা পত্রে সাক্ষর প্রদান করেন। . .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: