কক্সবাজার রামুতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে (২০ নভেম্বর) ভুক্তভোগী আব্দু রহিমের স্ত্রী ছমুদান্নাহার রামু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ রয়েছে, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ধোয়াপালং এলাকার মো. ইলিয়াস এবং হলোদিয়া পালং এর নুরুল আলম বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রিকার পরিচয় ব্যবহার করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার-হাজার টাকা।
এসব পরিচয় দিয়ে রামুর বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে খেটে-খাওয়া মানুষকে ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষকে হুমকিসহ বিভিন্ন উপায়ে চাঁদা দাবি করছেন তারা। এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা। সাংবাদিকতার মতো একটি মহান পেশার মর্যাদা হুমকির মুখে পড়েছে! বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকরা।
তবে সচেতনমহল বলছেন,ভূয়া সাংবাদিকরা নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। নিজেদের কখনো সাংবাদিক কখনো বা মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন প্রতারণা চালিয়ে আসছে এই দুই প্রতারকচক্র।
সাংবাদিকতার নাম ব্যবহার করে যারা প্রতারণা করছে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক এমনটাই দাবি জানিয়েছেন সচেতনমহলসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা। তারা বড় সাংবাদিক, তাদের সাথে কথা বলাই যেন দায়! তাদের কাছে জিম্মি গ্রামের আমজনতা থেকে শুরু করে সভ্যতার আধুনিক মানুষেরাও। ওরা মাঝে মাঝে খোদ প্রফেশনাল সাংবাদিকদেরও ঘোল খাইয়ে ছাড়ে।
কোন রকমে টাকার বিনিময়ে একটি কার্ড সংগ্রহ করে তারা বিভিন্ন ভূয়া চ্যানেল,অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে৷ এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা৷ কি গ্রাম, কি বাজার সবখানেই এদের দৌড়াত্ব্য। রামু উপজেলার খুনিয়াপালংসহ বিভিন্ন জায়গায় এদের অবাদ বিচরণ।
রামু খুনিয়াপালং এর ১নং ওয়ার্ডের দারিয়ার দীঘি থোয়াইংগা কাটা এলাকার স্হানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিমের স্ত্রী ছমুদান্নাহার বলেন, কিছু দিন আগে আমি আমার নিজ বাড়িতে উঠানের মাটি সমান করতেছিলাম এসময় দুইজন লোক আমার বাড়িতে এসে প্রথমে সরকারি লোক পরিচয় দিয়ে বলেন, তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে, তা- নাহলে মামলা দিয়ে আমাকে এবং আমার স্বামীকে জেলে পাঠাবে। পরে তিন হাজার টাকা দিয়েছি। তার মধ্যে একজনের নাম ইলিয়াস অন্য জন হচ্ছে নুরুল আলম।
একি এলাকার মোহাম্মদ দুলালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি প্রতিবেশি বসির আহম্মদকে চলাচলের রাস্তা দিয়েছি, রাস্তা টা ছিল পুরনো, একটু মেরামত করছিলাম তার জন্য আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে, আমি ভয়ে দুই হাজার টাকা ব্যাস্হা করে দিয়েছি। আব্দুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মতিউর রহমানের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তাদেরও একি অভিযোগ।
এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, আমার কাছে কেউ অভিযোগ করে নাই, যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তদন্ত পূর্বক আইনগন ব্যবস্থা নেয়া হবে.
ডে-নাইট-নিউজ / কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপনার মতামত লিখুন: