ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা এরিয়ার গুনারা গ্রামের হত দরিদ্র অটো রিক্সাচালক সারু মিয়ার নাবালিকা মেয়ে লীপা আক্তারকে পথের পরিচয় হওয়া এক মহিলার মাধ্যমে। ঢাকা ধানমন্ডি ১২ নাম্বার রোডে অবস্থিত কোন এক বাসায় কাজের জন্য দশ বৎসরের শিশু বাচ্চা লীপা আক্তারকে বুঝিয়ে দিয়ে আসে ঐ মহিলা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ছয় মাস যাবৎ লীপা আক্তার সাংবাদিক ম্যাডামের বাসয় কাজ করলেও কাজের বিনিময়ে হত দরিদ্র রিক্সাচালক কোন প্রকার টাকা-পয়সা চাই না।.
শুধু সময়ে সময়ে ম্যাডামের মোবাইলে ফোন দিয়ে নিজের মেয়ে লীপা আক্তার এর সাথে কথা বলে খুঁজ খবর নিতেন। গত ২৩/০৯/২২ইং সকালে হঠাৎ করে সায়লা ম্যাডাম ফোনে জানায়, তোমার মেয়ে লীপা অসুস্থ হয়ে গেছে। তোমার মেয়েকে তোমার বাড়িতে নিয়ে যাও। রিক্সাচালক ঢাকা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছে ম্যাডামকে ফোন দিলে, ম্যাডাম বলেন তুমি সায়েদাবাদ থাক আমার ড্রাইভার তোমার মেয়েকে তোমার নিকট বুঝাইয়া দিবে। .
ম্যাডামের কথামত ম্যাডামের ড্রাইভার লীপা আক্তারকে নিয়ে আসলে মেয়ের অবস্থা দেখে সায়লা ম্যাডামের বাসায় যাওয়ার কথা বলিলে, ড্রাইভার তাড়াহুড়া করে সটকে পরে। এমতাবস্থায় সারু মিয়া মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে আসিয়া পাড়া-প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ২৪/০৯/২২ইং ভর্তি করে । কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তারগণ ২৬/০৯/২২ইং তারিখে অসুস্থ লীপা আক্তারের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের চিহ্ন।.
লীপা আক্তার বিষয়ে হাসপাতলে এক জরুরী মিটিং বসে। ঐ দিন ডাক্তারদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার দরকার মনে করে গরীব বিধায় ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার করে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাংবাদিক বলে কথা এদিকে সারু মিয়া ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসার জন্য আসছে বলে ম্যাডামকে জানিয়ে দিলে ম্যাডাম একজন মহিলাকে কিছু টাকা দিয়ে পাঠায় সারু মিয়ার নিকট এবং সারুকে বলে এই তুমি টাকা বুঝিয়া পাইয়া ঐ একটি সাদা কাগজে তোমার নামে সই করে দিয়ে দিবা।.
কিন্তু অসহায় সারু মিয়া ম্যাডামের কথায় ভয় পেয়ে যায়, এ জন্য আমার মেয়েকে মারধর করে শেষ করে দিয়ে ম্যাডাম বাঁচার জন্য আমার স্বাক্ষর নিতে চাই। আমি স্বাক্ষর দিব না এবং ম্যাডামের পাঠানো টাকা নেয়নি টাকা না নেওয়ার কারণে। সাংবাদিক সায়লা ম্যাডাম ফোনে সারুকে বলে তুই আমার কিছুই করতে পারবি না।.
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সায়লা ম্যাডাম কোনো এক স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের কর্মি বলে এত দাপট মহিলার। লীপা আক্তারের গর্ভধারিনী মা বলেন, আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচার চাই। লীপা আক্তারের গ্রামের সচেতন মানুষজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে সাংবাদিক সায়লাকে আইনের আওতায় বিচারের কাঠগড়ায় আনা হউক।. .
ডে-নাইট-নিউজ / এস.এম জজ মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম), ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আপনার মতামত লিখুন: