বিদেশগামী অনেক যাত্রীর অভিযোগ- টাকা না দিলে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সত্যায়িত বাতিল করে দেন হবিগঞ্জ সদর থানার কর্মরত কর্মকর্তা রুস্তম সব ধরনের কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও পুলিশের এই কর্মকর্তার কারণে তাদের প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এ ছাড়া প্রবাসফেরত যাত্রীরা পুনরায় অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করলে, সেই আবেদন বাতিল করে বলা হচ্ছে, ‘অবৈধ স্ক্যানিং সত্যায়িত। মূল সত্যায়িত দিয়ে আবার আবেদন করতে বলা হয়।.
.
.
.
.
দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তাদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের বলা হয় ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তাই সরকার সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গায় রেখেছে তাদের। এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা বিদেশে যাওয়ার আগে কী পরিমাণ হয়রানির শিকার হন তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হবিগঞ্জের জেলা। এখানকার বিদেশগামী যাত্রীদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়া অনেকটা সোনার হরিণের মতো হয়ে গেছে। .
.
.
.
পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের বিষয়ে কথা হয় হবিগঞ্জ সদর থানা অফিসার ইনচার্জ এর সাথে তিনি জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য এর আগে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি তাদের। তিনি বলেন, তিন মাস ধরে আবেদন সত্যায়িত করার পরও বাতিল করে দিচ্ছে ডিএসবি আইসিটি বিভাগ। সঠিকভাবে সত্যায়িত করার পরও মন্তব্যে কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে ‘অবৈধ স্ক্যানিং সত্যায়িত’। .
তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইনে আবেদন গ্রহণের জন্য টাকা লাগে ভাবতেই অবাক লাগে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আমার আবেদন- তিনি যেন এমন .
.
.
.
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কম্পিউটারের দোকানদার বলেন, ‘আমরা প্রতিটি আবেদনের জন্য হবিগঞ্জ সদর থানার একজন অফিসার নাম রুস্তম ১৫০০ টাকা করে নিয়ে যায়। তখন সঙ্গে সঙ্গে আবেদনটি গ্রহণ করা হয়। যারা টাকা প্রদান করেন না, তাদের কাগজপত্র সঠিক থাকলেও আবেদনটি দেরিতে করেন না হয় বাতিল করে দেন।’ ওসি এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা লেনদেন বা কাউকে হয়রানির অভিযোগ পেলে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ .
. .
ডে-নাইট-নিউজ / নিউজ ডেস্ক:
আপনার মতামত লিখুন: