উমেদনগের ক্যাসিনো নামে বেশ কিছু প্রতারক চক্র গ্রাম পর্যায়ে প্রতারণা শুরু করেছে। তাদের মধ্যে একজন হলো মো: সৈকত মিয়া (২৫), পিতা, জিতু মিয়া, (৫৫), ২। মো: রাসেল মিয়া (২৭) পিতা ফজর আলী (৫৮) ৩। সাগর মিয়া, (২৩) পিতা জিতু মিয়া। ৪। জিলু মিয়া (১৯) অর্থের বিনিময়ে উমেদনগর গ্রামের যুবকদের কাছ থেকে ভিট কয়েনের ক্যাসিনোর মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গ্রামের সহজ-সরল মানুষদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করাই যাদের মূল লক্ষ্য। তবে, প্রশাসন বলছে, সচেতনতার অভাবে ঘটছে এমন ঘটনা।.
সাত লক্ষ ৮৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শাহ বদরুল আলম রিয়াদ নামের এক নাবালক ১০ম শ্রেণীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি এর আগে বিভিন্ন ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার লোভ দেখানো হয় তাকে। শুধু শাহ বদরুল আলম রিয়াদ নয়, এ বাজারে দিনমজুরসহ ৪৯ বছরের ভ্যান চালক বৃদ্ধও বাদ পরেনি প্রতারণার হাত থেকে।.
৪৯ বছরের ভ্যান চালক বলেন, 'তারা আমাকে কইছে যদি আপনি এই অনলাইন ক্যাসিনো নিয়ে সদস্য হন তাহলে আপনি সব জায়গায় অনেক সম্মান পাবেন। কইয়া আমার কাছ থেকে টাকা লইয়া যায়।'.
চায়ের দোকানদার বাধন বলেন, 'তারা আমাকে কয়ছে যদি ভিট কয়েন লগে নিয়া যেখানে যাইবা সব জায়গায় দাম পাবা। আর এই একাউন্ট কইরা কি লাভ হইছি তাই বুঝি না। দামতো দুরের কথা।' আর এইভাবে তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।.
তবে, বর্তমানে পনুসহ প্রতারণাকারীদের সন্ধান জানা নেই কারও। তাদের বলা হয় সৈয়কত নামে প্রতারক নাকি ইউরোপ থাকে। বাসা বাড়ি থেকে বসেই তারা এভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে সাধারণ জনগণের টাকা।.
এদিকে, শুধু সদস্য করার নামেই প্রতারণা করেনি চক্রটি। গ্রামের মানুষকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে আদায় করেছে বিভিন্ন অংকের টাকাও। অবশ্য এ ব্যাপারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাবকে দায়ী করছে প্রশাসন। চক্রের প্রধান সৈকত এর নামে একাদিক মামলাও হয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / ডেস্ক রিপোর্ট:
আপনার মতামত লিখুন: