আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। আজ ৬ জুলাই নগরের হোটেল টাওয়ার ইনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকালের ম্যাচটিই আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছি। সিদ্ধান্তটি হুট করে নেওয়া নয়। অনেক দিন ধরেই আমি এটা নিয়ে ভাবছি।.
তামিম বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময় সরে দাঁড়ানোর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। নিজের বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্যই ক্রিকেট খেলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।.
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের জন্য তামিম ধন্যবাদ দিয়েছেন সতীর্থ, কোচ, বিসিবি, পরিবার ও সমর্থকদের, ‘ক্যারিয়ারের এই দীর্ঘ পথচলায় আমার সব সতীর্থ, সব কোচ, বিসিবির কর্মকর্তাগণ, আমার পরিবার ও যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, নানাভাবে সহায়তা করেছেন, ভরসা রেখেছেন এবং আমার ভক্ত-সমর্থক, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। .
২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হয় তামিমের। এই ক্রিকেটার মাত্র চার ওয়ানডে খেলেই নাম লেখান বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। আর প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় এক জয়ে দাপুটে ফিফটি হাকিয়ে জানান দেন নিজের যোগ্যতার। .
বিদায় বলে দেওয়ার আগে ৭০ টেস্টে ৩৮.৮৯ গড়ে রান ৫ হাজার ১৩৪ রান করে যান তামিম। যেখানে তার সেঞ্চুরি ১০টি ও ফিফটি রয়েছে ৩১টি। টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরি দেশসেরা এই ওপেনারেরই।.
ওয়ানডে ২৪১টি খেলে ৩৬.৬২ গড়ে রান ৮ হাজার ৩১৩। ১৪ সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি ৫৬টি। এই সংস্করণে দেশের হয়ে রান, সেঞ্চুরি, ফিফটি, সবকিছুতেই তিনি রয়েছেন সবার ওপরেই। এর আগে গত জুলাইয়ে টি-টোয়েন্টিতে অবসর নেন। তার আগে নামের পাশে যোগ করে যান ৭৪ ম্যাচে ১ হাজার ৭০১ রান। এই সংস্করণে দেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তামিমই.
তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫ হাজার রান করা দেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি ২৫টি। বাংলাদেশের হয়ে ২০ সেঞ্চুরিও নেই আর কারও। . .
ডে-নাইট-নিউজ / রাফিজ হাছান
আপনার মতামত লিখুন: