• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

খেলার ছলে বাস্তব বিয়ের আঙ্গীকেই তিতলি ও তৃষাণের পুতুল বিয়ে


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ০১:৪৩ পিএম;
খেলার ছলে বাস্তব বিয়ের আঙ্গীকেই তিতলি ও তৃষাণের পুতুল বিয়ে
খেলার ছলে বাস্তব বিয়ের আঙ্গীকেই তিতলি ও তৃষাণের পুতুল বিয়ে

জন্মে জীবনের সূচনা, বিবাহে পূর্ণ। তা জৈবিক ও সামাজিক। মানবসমাজে প্রচলিত বিয়ের বাইরেও এ ধরনের কিছু আনুষ্ঠানিক রীতি রয়েছে, যেগুলো অদ্ভুত বটে। জীব ও প্রকৃতিজগতে নিজের সৃজন, রুচি ও জীবনবোধের বিস্তার ঘটাতেই হয়তো দুটি মানুষের বিয়ের পাশাপাশি এসব বিয়ের রীতি; যা কখনো খেলার ছলে, কখনোবা লোকসংস্কৃতির অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়। ঠিক তেমনি খেলার ছলে বাস্তব বিয়ের আঙ্গীকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের রীতিমতেই পুতুল বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে। আয়োজন ছিলো ভোজেরও। গত সোমবার রাতে পৌরএলাকার কাঁটাবাড়ী গ্রামে কনে তিতলি সরকার পিও’র সাথে মালা বদল হয় তৃষাণ সাহার। 
জানা যায়, যার পুতুল মেয়ে, তার বাড়িতে আসে পাত্রপুতুলের বাড়ি থেকে বরযাত্রী। আমন্ত্রিত-নিমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য রান্না-বান্না সবি প্রস্তুত। অবশ্য অতিথিরা সবাই কিশোর-কিশোরী। পুতুলের বিয়ে উপলক্ষে বেজে উঠেছিল সানাই। এই বিয়েতে বাড়িঘর ঝলমলে হয়েছিল আলোকসজ্জায়। ওই দুই পুতুলের বিয়েতে ঘটকালিও চলেছে। ঘটকালি করেছে দুই পরিবারের আত্মীয়রা। ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়েই ছদনাতলায় বিয়ে হয় তিতলি আর তৃষাণের।
কনে সম্প্রদান করে কাঁটাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবন্তী গুপ্তা। পাত্রের মা হয়ে বিয়ে ম-পে পাত্রকে নিয়ে বসেছিল একই গ্রামের বাসিন্দা ও ফুলবাড়ী বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রুমঝুম সাহা। .


বশ্য বিয়ের শুরুটা কয়েকদিন আগে থেকেই। খেলার ছলে বিয়ের দিতে গিয়ে বাস্তবে বিয়ের বায়না ধরে শ্রাবন্তী ও রুমঝুম। পরে তাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের বায়নাপূরণে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। গত শুক্রবার হয় বর আশির্বাদ। শনিবার গায়ে হলুদ। রোববার রীতি মেনে অধিবাস। জল সইতে যাওয়া, বর কনের হলুদ সন্ধ্যায় পালন। সোমবার রাতে ধুমধামে সানাইয়ের সুরে বিয়ের আসর। 
শুক্রবার আশির্বাদ,রোববার সকাল থেকেই রীতি মেনে হয়েছে অধিবাস, তারপর হলুদ কোটা, জল সইতে যাওয়া,বর-কনের গায়ে হলুদস্নানের পরে সোমবার রাতে কনের বাড়িতে সাজানো হয় বিয়ের আসর। বেজে ওঠে সানাইয়ের সুর। কনে বাড়ীতে আসেন বরযাত্রী। বরযাত্রীদের বরণ করেন কনে পক্ষ। ধর্মীয় আচার অনুযায়ী প-িত মশাই শুরু করেন বিয়ে। প-িত হিসেবে ছিলেন শুভ নামে এক যুবক। এভাবে শেষ হয় বিয়ের কার্যক্রম। এদিকে পুতুল বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার কচিকাচা বালক-বালিকা, বৃদ্ধ ও মধ্যবয়সি নারীদের ভিড় জমতে থাকে বিয়ে বাড়ীতে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। .


কনে পক্ষের শ্রাবন্তী গুপ্তার মা শান্তি রানী গুপ্তা বলেন, আমরাও ছেলে বেলায় পুতুল খেলেছি, যা বেশ আনন্দময় ছিল। সে সময়ে বহু পুতুল বিয়ে দিয়েছি। কারণ তখন পুতুল বিয়ে প্রচলন ছিল। বাচ্চাদের বায়না পুরন ও আমাদের পুরোনো স্মৃতিকে জাগ্রত করতেই এই পুতুল বিয়ের আয়োজন। নতুন প্রজন্ম এই আনুষ্ঠানিকতাকে বেশ উপভোগ করেছে। তাদের একে অপরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন হচ্ছে। এটি কোনো কুসংস্কার না।  বরপক্ষের রুমঝুম সাহার বাবা মনোজ সাহা বলেন, আমরা একে অপরের প্রতিবেশি। মেয়েদের বায়না মেটাতেই এই পুতুল বিয়ের আয়োজন। বাস্তব বিয়ের আঙ্গীকেই বিয়েটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
 . .

ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

বিনোদন বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ