বড়পুুকুরিয়া কয়লাখনি চীনা শ্রমিকসহ ৫২ জন শ্রমিক করোনা আক্রান্ত: কয়লা উত্তোলন শুরুর তিনদিনের মাথায় ফের বন্ধ কয়লা উত্তোলন ! বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে আশার আলো জেগেছিল, তা আবারো নিভুনিভুর শঙ্কা কয়লা উত্তোলন শুরুর তিন দিন পর আবারো বন্ধ হয়ে গেলো দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লাখনি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পাশর্^বর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন।.
৩৪ জন চীনা শ্রমিকসহ ৫২ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সাময়িক উত্তোল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বড়পুুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার। কয়লা উত্তোলন শুরু হওয়ায় জনমনে যে আশার আলো জেগেছিল; তা আবারো নিভুনিভু করছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কতটুকু কয়লা রয়েছে এবং তা দিয়ে কতদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এ নিয়ে শঙ্কা জেগেছে। তবে শিঘ্রই বাহিরের শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার করে অভ্যন্তরে নিয়ে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।.
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বড়পুুকুরিয়া কয়লাখনির ১৩১০ নং ফেইজ (কুপ) পরিক্ত্যক্ত হওয়ার দীর্ঘ ৮৭ দিন পর নতুন ফেইস ১৩০৬ নং থেকে গত বুধবার (২৭ জুলাই) থেকে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। কয়লা উত্তোলন শুরু থেকে ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই পর্যন্ত কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। গত ২৬ জুলাই ৪০০ জন স্থানীয় (দেশি) শ্রমিকের র্যা-ম করোনা পরীক্ষা করা হলে ১৬ জন শ্রমিকের করোনা পজিটিভ আসে। একইভাবে গত ২৮ জুলাই ২৯২ জন চীনা শ্রমিকের র্যা-ম করোনা পরিক্ষা করা হলে তাদের মধ্যে ৩৪ জন ও ১৩ জন দেশি শ্রমিকের মধ্যে ২ জনের করোনা পজিটিভ আসে।.
খনিশ্রমিকদের মাঝে ব্যাপকহারে করোন ছড়িয়ে পড়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি ও এক্সএমসি কনসোটিয়াম কয়লা উত্তোলন সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেন। বন্ধকালিন সময়ে ১৩০৬ নং নতুন ফেইজ (কুপ) অ্যাডজাস্টম্যাণ্ট চালু থাকবে। একইসাথে সকল খনিশ্রমিককে পুনরায় করোনা পরীক্ষা করানো হবে। তাদের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে তাদেরকে কাজে যোগদানের মধ্যদিয়ে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে।.
বড়পুুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, দীর্ঘ ৮৭ দিন পর গত বুধবার (২৭ জুলাই) কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। গত তিনদিন ঠিকঠাকভাবে কয়লা উত্তোলন হলেও ব্যাপকহারে করোনা ছড়িয়ে পড়লে শনিবার থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বলে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি ও এক্সএমসি কনসোটিয়াম।.
তবে এসময়ে করোনা ম্যানেজম্যাণ্ট এবং নতুন ফেইস অ্যাডজাস্টমেন্টের কাজ চলমান থাকবে। তিনি আরো জানান, খনিতে কর্মরত চীনা শ্রমিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, আগের মতো যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরকে খনির বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। যারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে ছিলেন তারাও খনির বাইরে চলে গেছেন। শিগগির যে সকল শ্রমিক বাইরে আছে, তাদেও করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে খনিতে ফিরিয়ে আনা হবে।.
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেইজ (কুপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হলে, ওই কুপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে পরিত্যক্ত ফেইজ থেকে নতুন ফেইজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তÍর ও সংস্কার কাজ শেষ করে আগস্টের মাঝামাঝি খনির নতুন ১৩০৬ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই গত বুধবার (২৭ জুলাই) পরীক্ষামূলকভাবে উত্তোলন শুরু হয়। তা গতকাল শনিবার (৩০ জুলাই) থেকে আবারো সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। . .
ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
আপনার মতামত লিখুন: