• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

রামগতিতে ভিটেমাটি রক্ষায় ছাত্র, যুব পরিষদের মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলা!


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ আগষ্ট, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ, ০৫:৪০ পিএম;
রামগতিতে ভিটেমাটি রক্ষায় ছাত্র, যুব পরিষদের মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলা!
রামগতিতে ভিটেমাটি রক্ষায় ছাত্র, যুব পরিষদের মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হামলা!

লক্ষ্মীপুর জেলার অন্তর্গত রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার প্রেসক্লাবের সামনে আজ ২৫শে আগস্ট (বুধবার) সকাল ১১ ঘটিকার সময় রামগতি কমলনগর নদী রক্ষা বাঁধ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। উক্ত মানববন্ধনে চলাকালীন সময়ে মানববন্ধনে উপস্থিত ছাত্র-যুব অধিকার পরিষদ নেতা কর্মীদের উপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।  হামলার নেতৃত্ব ছিলো:অমিত শাহা, রামগতি পৌর যুব লীগের ৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ও সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সহ উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অন্যান্য কর্মীরা।.

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ লক্ষ্মীপুর জেলা সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক মোঃ ইউসুফ হোসাইন ডে-নাইট নিউজ প্রতিনিধিকে জানান,  আমরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং যুব অধিকার পরিষদ রামগতি-কমলনগরের নেতৃবৃন্দ রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন বাস্তবায়নের জন্য দাড়াই। উক্ত মানববন্ধনে চলাকালীন সময়ে আমাদের উপর রামগতি পৌর যুব লীগের ৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত এর নেতৃত্বে একদল অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের ব্যানার-ফেস্টুন ছিনিয়ে নেয়া সহ নেতা কর্মীদের মারধর করে। এতে আমাদের রামগতি উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও উপজেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক  মোঃ হাসান সহ ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এই ঘটনায় আমরা তাৎক্ষণিক রামগতি উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে বিষয়টি জানাই।.

ছাত্র অধিকার পরিষদ এর নেতাকর্মীরা আরো জানান, আমরা তো কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মানববন্ধন আয়োজন করিনি.! কমলনগর-রামগতি উপজেলার প্রায় সাত লক্ষ মানুষের গণদাবি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে রামগতি-কমলনগরের নদী রক্ষা বাঁধ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করছিলাম। সেখানে দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। তারা আরো জানান, যদি সেনাবাহিনী দিয়ে কাজ না করা হয়, তবে দুর্নীতির আশংকা থাকবে ব্যাপক। তারা দাবী করেন সেনাবাহিনীর কাজ এবং ঠিকাদারের কাজ মিলে ২ ধরনের কাজের প্রমাণই রামগতি এবং কমলনগরে আছে। সেনাবাহিনীর কাজের মান বিশ্বমানের। আর ঠিকাদারের মাধ্যমে শেষ হওয়া কমলনগরের মাতাব্বরহাট বেড়ীবাঁধ এখন অনেকটা হুমকির মুখে। রামগতি-কমলনগরে নদী তীর রক্ষাবাঁধ যেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে বাস্তবায়ন হয়, তাহলেই এই অঞ্চলের প্রায় সাত লাখ মানুষের জনদুর্ভোগ শেষ হবে বলে আশা ব্যক্ত করে।. .

ডে-নাইট-নিউজ / লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি

খেলাধুলা বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ