লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে কৃষকদের মাঝে সরকারী বীজসহ নানা বরাদ্দে সীমাহীন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেকের বিরুদ্ধে।.
সাম্প্রতি বন্যা কবলিত এলাকা রামগতির জন্য দশ প্রকারের বীজ ও প্রতিকৃষককে বিকাশে ১ হাজার টাকা দেয়ার বিধান রয়েছে। .
.
কিন্তু কর্মকর্তা ও উপসহকারীরা তাদের আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত নামে একাধিক সিমকার্ড ব্যবহার করে বীজ ও টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। .
এছাড়া সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পে উপসহকারী সংশ্লিষ্ট না রেখে নিজেই গোপনে লাক লাখ টাকা লুটে নেয়।.
.
.
এদিকে তিনি রামগতিতে যোগদান করে কৃষকদের নিম্মমানের কম্বাইন হার্ভেস্টার কোম্পানি থেকে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন বলে একাধিক সূত্র জানা যায়।.
অফিসে অনিয়মিত থাকা এটাতো কর্মকর্তার কাছে ডাল- ভাতের মতো।.
তিনি সরকারী গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে নিয়মিত ব্যবহার করে যা সরকারি বিধি বহির্ভূত। .
তার এমন নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে রামগতি উপজেলা কৃষকরা অতিষ্ঠ। আলেরজান্ডার ইউনিয়নের মাহফুজ, নাজমা, বাবুল, আ,রশিদসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী ক্ষোভপ্রকাশ করে জানান, কৃষি অফিসে আইডিকার্ড ফটোকপি ও ছবি জমা দিয়েছি। এভাবে ৩ বার কর্মকর্তাকে জানালে তিনি তালিকাভুক্ত করেছেন। কিন্তু বীজ- সারসহ কোন প্রণোদনা দেন নাই।.
এভাবেই কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছে দিনের পর দিন।.
নামপ্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কৃষি অফিসার ও উপসহকারীরা নিজেদের ইচ্ছে মতোই কাজ করছেন। এতে প্রকৃত কৃষরা অফিস থেকে মুখ ফিরাইয়া নিজেদের উপর ভরসা নিছেন।.
রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন, কৃষকরা সুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে কোন অভিযোগ পাই নাই। আমাদের প্রত্যাশা প্রকৃত কৃষক যেন সুবিধা নিতে পারে।.
.
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক জানান, আমি অফিসের বাহিরে আছি। এছাড়া অফিসে অন্যান্য অফিসারও অনুপস্থিত। তিনি আসলে অফিসে এসে কথা বলার অনুরোধ করেন ওই কর্মকর্তা।. .
ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি)
আপনার মতামত লিখুন: