• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ; ১১ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • Govt. SL. No:-352

Advertise your products here

দাম বাড়িয়েও মিলল না ধান


ডে-নাইট-নিউজ ; প্রকাশিত: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ০১:১৩ পিএম;
দাম বাড়িয়েও,   মিলল না ধান
দাম বাড়িয়েও মিলল না ধান

 .

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সরকারিভাবে আমন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ২৫৮ মেট্রিক টন। সরকারিভাবে গত ১৭ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হয়ে গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান। সরকার গত আমন মৌসুমে প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করেছিল ৩০ টাকা। ধান পায়নি গুদামগুলো।কিন্তু এবার তিন টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৩ টাকা। দাম বাড়িয়েও ধান পায়নি উপজেলার সরকারি খাদ্য গুদাম দুইটি। .

 .

সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার খাদ্যগুদামে এক মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে।এ সময় ৩ হাজার ২৫৮ দশমিক ৩৩০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ৭৯৫ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহের জন্য ৮৯ টি হাসকিং মিল ও ১০ টি অটোরাইস মিলের মধ্যে ৪৯ টি হাসকিং মিল এবং ১০ টি অটোরাইস মিল চুক্তিদ্ধ হয় খাদ্য বিভাগের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সেদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।.

 .

 .

 .

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমন সংগ্রহের সরকারিবাবে ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েচিল, স্থানীয় বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে ধান বেচাকেনা হয়েছে। এ ছাড়াও খাদ্য উপজেলা সদরে হওয়ায় ধান পরিবহনে কৃষকের ব্যয় বাড়ে। শ্রম ও সময়ও বেশি লাগে। এজন্য কৃষক বাড়ী থেকে আশপাশের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করেছেন। এতে পরিবহন ব্যয়, শ্রম ও সময় লাগছে। এসব কারণে কৃষক খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করতে আগ্রহী হননি। তবে চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকরা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ করেছেন।উপজেলার উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক মহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাদ্য গুদাম অনেক দূরে। এ ছাড়া ধান বিক্রি করতে প্রচন্ড ঝামেলা হয়। পরিবহন খরচ আছে।.

 .

 .

 .

সময়ও বেশি লাগে। ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে হয়। বাড়ী থেকে ধান বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। কোনো খরচও নেই। সময়ও কম লাগে। এজন্য সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে তার আগ্রহ নেই।ফুলবাড়ী উপজেলার নলপুকুর এলাকার মেসার্স ফাইজুল হাসকিং মিলের স্বত্বাধিকারী মো. ফাইজুল ইসলাম বলেন, রাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে ৫০ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এরপরও প্রথম দিকে লোকসান দিয়ে কিছু চাল খাদ্য বিভাগে সরবরাহ করছেন মিলাররা। এতে আর্থিকভাবে তার লোকসান হয়েছে তাদের।উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সোহেল আহমেদ বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সেদ্ধ ও আতপ চাল সংগ্রহ সংগ্রহ করা গেলেও ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র এক মেট্রিক টন যা লক্ষ্যমাত্রার ০ দশমিক ০১ শতাংশ। . .

ডে-নাইট-নিউজ / প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

কৃষি বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ