ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাচেঁরকোল জাঙ্গালিয়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অনশনে বসেছে দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী। বিয়ে না করলে ওই বাড়িতেই সে আত্মহত্যা করবে বলে জানিয়েছে। এদিকে প্রেমিকা আকাশ হোসেন আক্কাস বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগে ভাগেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে গ্রাম ছেড়েছে। পেশায় সবজি ব্যবসায়ী আকাশ হোসেন জাঙ্গালিয়া গ্রামের আলম খন্দকারের ছেলে। গ্রামবাসির অভিযোগ, সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময় ওই কিশোরীকে নিজের বোন বলে আদর স্নেহ করতো আকাশ।.
পাশের দোকান থেকে নানা রকমের জিনিস কিনে দিত আকাশ। ধীরে ধীরে মেয়েটি বড় হতে থাকে। বদলাতে থাকে সবজি ব্যবসায়ী আকাশের লোলুপ মান। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায় রাতে আকাশ মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করতো। আদর স্নেহের নামে মেয়েটির স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো। আর এতেই সর্বনাশ হয়ে যায় কৃষক পরিবারের ওই মেয়েটির। বড় ভাই সেজে অভিনয় করে গড়ে তোলে অবৈধ সম্পর্ক। কিন্তু লজ্জা ও ভয়ে কিছুই বলতে পারে না মেয়েটি। মাসের পর মাস আকাশ বড় ভাইয়ের অভিনয় করে ভোগ করতে থাকে। এক সময় বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হয়ে পড়লে গ্রামে সালিশ বৈঠক বসলেও হতদরিদ্র হওয়ায় বিচার পায়নি। তারপরও থেমে থাকেনি আকাশের লম্পট্য। গত ২০ সেপ্টম্বর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মেয়েটিকে নিয়ে আসে ঝিনাইদহ শহরের এক বন্ধুর বাসায়। ৫দিন রেখে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় আকাশ। মেয়েটি কোন উপায় না পেয়ে বাড়ি ফিরে যায় এবং গত ৫ অক্টোবর থেকে আকাশের গ্রামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে। অনশনকারী স্কুল ছাত্রীর পিতা শমসের শেখ জানান, ‘আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে ও বিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে ধর্ষণ করেছে আকাশ। .
অনশনকারী স্কুল ছাত্রী জানায়, আমার সামনে এখন দুটি পথ খোলা হয় বিয়ে না হয় আত্মহত্যা। সবজি ব্যবসায়ী আকাশ হোসেন জানান, সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মেয়েটির সাথে আমার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। আর আমি তাকে কোন বিয়ের আশ্বাস দেইনি। তবে মেয়েটির পরিবারের সাথে আগে সুসম্পর্ক থাকলেও এখন নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, বিষয়টি জানার পরই উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মেয়েটি এখনো অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। কাঁচেরকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড. সালাউদ্দিন জোয়ার্দার মামুন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। এমন কিছু ঘটলে অবশ্যই লম্পট আকাশের শাস্তি হওয়া উচিত। শলকুপার কচুয়া তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনাটি আমি জানার পর ওই ছাত্রীর পরিববারকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। শৈলকূপা থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, ছাত্রীর অনশনের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: