বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ৫০ বছরে পা দেয়ায় সুবর্ণ জয়ন্তীতে আয়োজিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর যুব মহাসমাবেশে হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশী যুব নেতাগন সফলভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা মহাসমাবেশস্থলে আসেন। তাকে দেখার আনন্দে মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে মহাসমাবেশ স্থল.
উপস্থিত নেতাকর্মী ও যুবকরা উঠে দাড়িয়ে সম্মান জানান তাকে। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।.
হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থীদের মধ্যে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ও মোড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সলের নেতৃত্বে আলাদা আলাদা মিছিল নিয়ে যুব মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি মিছিলে প্রায় সহাস্রাধিক লোকের অংশগ্রহণ ছিলো। সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের মধ্যে তাজউদ্দিন আহমেদ তাজ ও আব্দুর রহিম কাউছার উল্লেখযোগ্য পরিমান লোক সমাগম ঘটিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশে অংশ নেন। প্রতিটি মিছিলই রংবেরং এর সুদৃশ্য ক্যাপ ও ব্যানার ও ফেস্টুন সহযোগে সুসজ্জিত ছিল।.
এ সময় হবিগঞ্জের যুব নেতাদের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকা। মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ২.৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিলো বিএনপির সময়, আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত নিয়েছিলাম। কোভিড টিকা কিনেছি, বিনিয়োগ করেছি, বিমান কিনেছি, পায়রা বন্দর নিজস্ব অর্থায়নে করেছি, এইভাবে রিজার্ভ থেকে খরচ হয়েছে, ঘরের টাকা ঘরে থাকছে।.
মহাসমাবেশে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে যুবলীগের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমানের ক্রমধারা বর্ণনা ও তার সঙ্গে নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে সংসদ সদস্য মমতাজ গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন সবাইকে। উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী। ১৯৭২ সালের এ দিনে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুবসংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রথিতযশা সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।.
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুবসমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারও নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।. .
ডে-নাইট-নিউজ / উজ্জ্বল আহমেদ, হবিগঞ্জ॥
আপনার মতামত লিখুন: