সাংগঠনিক, রাজনৈতিক, উন্নয়ন ও জনমতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো মনোনয়নে এক নম্বরে অবস্থান করছেন বর্তমান বাসাইল -সখিপুরের জাতীয় সংসদ সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ভিপি জোয়াহের।.
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,
১) বর্তমান সাংসদ ১৯৭০ সালে বাসাইল থানা দিন মিরপুর গঙ্গার চর উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।
২) ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাসাইলের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম মতিয়ার রহমানের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
৩) স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গের আলীগড় সরকারি সাদৎ কলেজে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে অত্র কলেজে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৪) ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারে হত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে সাদৎ কলেজ করটিয়া সিএম ছাত্রাবাসের ১১১ নং কক্ষে ছাত্রলীগের সদস্যদের মিটিং চলাকালীন পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হন এবং চার মাস কারাগারে আটক থাকেন এবং ব্যাপক পুলিশ নির্যাতনের শিকার হন।
৫) কারাবরণের পর খুনি মীরজাফরের উত্তরসূরী জিয়াউর রহমানের শাসনামলে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিয়ে সাদৎ কলেজ ছাত্রলীগকে ব্যাপকভাবে সংঘটিত করেন এবং ১৯৭৯ সালে সাদৎ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। এ বছরই টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক হিসেবেও নির্বাচিত হন।
৬) ১৯৮০ সালে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৭) ১৯৮৩ সালে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।
৮) ১৯৮৭ সালে সরকারি সাদৎ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
৯) ১৯৮৮ সালের স্বৈরাচারের এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র সংসদ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গ্রেফতার হয়ে ৫ মাস কারা ভোগ করেন এবং কারাগারের অভ্যন্তরীন অবস্থায় ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সরকারি সাদৎ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১০) ১৯৯৪ সালের স্বৈরাচারী জঙ্গীনেত্রী খালেদা জিয়ার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের এক পর্যায়ে মিছিল শেষে গ্রেপ্তার হয়ে কারবরণ করেন এবং নির্যাতনের শিকার হন।
১১) ১৯৯৭ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১২) ১৯৯৯ সালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
১৩) ২০০৪ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৪) ২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিন সরকার কর্তৃক বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেন এবং আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রতিবাদ মিছিল করার সময় পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জে আহত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।১৫) ২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ২০২২ সালের ৭ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৬) ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মহান জাতীয় সংসদের ১১ তম সাধারন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৭) ২০২২ সালের ৭ই নভেম্বর অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে টানা দ্বিতীয় বারের জন্য টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
১৮) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এডভোকেট ফ্রেন্ডস ক্লাব টাঙ্গাইল।
১৯) তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য টাঙ্গাইল ইউনিট ,আজীবন সদস্য করোনেশন ড্রামাটিক ক্লাব (সি ডি সি) টাঙ্গাইল, আজীবন সদস্য সাধারণ গ্রন্থাগার টাঙ্গাইল।
২০) শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে তাহার রয়েছে নিরবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক কেননা তিনি দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা বেরবাড়ি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সখিপুর। দাতা ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেরবাড়ি জামে মসজিদ, সখিপুর, অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, রতনপুর খোশবাহার উচ্চ বিদ্যালয় সখিপুর , অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বেরবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা এবং সাবেক সভাপতি বিবেকানন্দ হাই স্কুল, টাঙ্গাইল।.
রাজনৈতিক জীবনের সাংগঠনিক দক্ষতা, মিটিং মিছিল বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কর্মতৎপরতা এবং জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবার পর তার কর্মদক্ষতা সততা, স্বচ্ছতা, দুর্নীতিবিরোধী চেতনা জন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক, সাংগঠনিক দক্ষতা, টাঙ্গাইল জেলার সমগ্র রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ, টাঙ্গাইল জেলার রাজনীতিতে স্বচ্ছতা বিধান, টাঙ্গাইল জেলার রাজনীতি থেকে খুন জখম হত্যা দূরীকরণে ভিপি জোয়াহেরুল ইসলামের সাহসী ভূমিকা ও অবদান অত্যন্ত সুদৃষ্টিতে দেখেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা।.
বর্তমান রাজনৈতিক বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার সাংগঠনিক দক্ষতা বিএনপি জামাত এর নৈরাজ্যের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের রাজনীতিকে সাংগঠনিক গতি দান, টাংগাইল বিএনপি জামাতের অগ্নি নৈরাজ্যের প্রতিবাদ বিভিন্ন সভা মিছিল মিটিং করে জনসচেতনতা সৃষ্টির যে দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছেন সেই দৃষ্টান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষণ দৃষ্টিতে অবলোকন করেন, সে কারণেই বলতে পারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুদৃষ্টিতে এসেছেন। সংসদীয় আসন বাসাইল-সখীপুর থেকে এডভোকেট ভিপি জোয়ারের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের কাছে ইতিবাচক সত্যতা, স্বচ্ছতার যে দৃষ্টান্ত সেটি সর্বত্র প্রচারিত। বাসাইল সখীপুরের সাধারণ জনগণের প্রিয় মানুষ এমপি জোয়াহের।. .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: