বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে বিরোধিতা, হামলা ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের তথ্য-উপাত্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি প্রতিনিধি অনুসন্ধানে এসেছেন। তারা ট্রাইব্যুনাালের পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গণবিজ্ঞপ্তি যাচাই বাছাই করে দেখছেন। অভিযোগ থেকে বাদ যায়নি বিটিভির ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পিন্টু লাল দত্ত। .
.
.
সরকারের দুই খাত থেকে পিন্টু লাল দত্ত কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও দলীয় ক্যাডার কর্তৃক ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত হত্যা, গণহত্যা, আটক, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজে সহায়তার জন্য তথ্য চেয়ে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২৪ অক্টোবর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। গত ১ অক্টোবর ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করে ইবি প্রশাসন। গঠিত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তর, বিভাগ ও আবাসিক হলে চিঠি প্রেরণের পাশাপাশি ৯ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে তথ্য ও ডকুমেন্ট আহবান করে। কমিটি প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত একত্রিত করে ১৯ অক্টোবর উপাচার্যের নিকট হস্তান্তর করে। পরে উপাচার্য এসব তথ্য-উপাত্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেন বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার দপ্তর। সূত্র জানায়, এই প্রতিবেদনে অন্তত ১৬টি সংযুক্তিতে আন্দোলনে বিরোধিতা, আন্দোলন নস্যাৎ করার লক্ষ্যে কর্মকাÐ, আন্দোলনকারীদের নির্যাতন ও হুমকিসহ নানা অভিযোগে দুই শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিবরণ উল্লেখ করে তালিকা পাঠানো হয়। একইসঙ্গে এসব ঘটনার ছবি, ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য ডকুমেন্টও প্রেরণ করা হয়েছে।.
.
.
আন্দোলনে বিরোধিতাকারীরা হলেন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ আসকারী, অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা বাকী বিল্লাহ বিকুল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, বাংলা বিভাগের তপন কুমার রায়, ইংরেজি বিভাগের এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম, মিয়া মো. রাসিদুজ্জামান, আফরোজা বানু, প্রদীপ কুমার অধিকারী, লিটন বরণ সিকদার, অর্থনীতি বিভাগের দেবাশীষ শর্মা, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের হাফিজুল ইসলাম, আইন বিভাগের শাহাজাহান মন্ডল, খন্দকার তৌহিদুল আনাম, সাজ্জাদুর রহমান টিটু, আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের আমজাদ হোসেন, ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মেহেদী হাসান, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের কাজী আখতার হোসেন, অরবিন্দ সাহা, শেলীনা নাসরীন, শাহাবুব আলম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহব্বত হোসেন, ধনঞ্জয় কুমার, মুর্শিদ আলম, কে এম শরফুদ্দিন, নাসিমুজ্জামান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের রুহুল আমিন, সঞ্জয় কুমার সরকার, মার্কেটিং বিভাগের মাজেদুল হক, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শহিদুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন, সিএসই বিভাগের আহসান-উল-আম্বিয়া, জয়শ্রী সেন, আইসিটি বিভাগের তপন কুমার জোদ্দার, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শফিকুল ইসলাম, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আনোয়ারুল হক, রেজওয়ানুল ইসলাম ও চারুকলা বিভাগের শিক্ষক তানিয়া আফরোজ, ইবির কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি দেওয়ান টিপু সুলতান, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট, মীর জিল্লুর রহমান, মীর মোর্শেদুর রহমান, শেখ ম. ডে-নাইট-নিউজ / ঝিনাইদহ প্রতিনিধিআইন ও আদালত বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ
আপনার মতামত লিখুন: