ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের মুল্যবান মালামাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রোকসানা বুলবুলির সহায়তায় পলাতক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ ট্রাক যোগে পরিষদের সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটলেও পরিষদের সচিব বুলবুলি রহস্যজনক ভাবে নীরব রয়েছেন। এ ঘটনায় সোমবার ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি হয়েছে। জিডি সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদের কক্ষ থেকে কে বা করা সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক, টিভি, ফ্রিজ, এসি, খাট, গ্যাসের চুলা সহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাগজ লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা কেউ মুখ না খুললেও পলাতক ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ লোক পাঠিয়ে পরিষদের এসব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ট্রাক নিয়ে তালা না ভেঙ্গে মালামাল নিয়ে যায়। .
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরবর্তীতে বিষয়টি জানার পর ইউপি সচিব বুলবুলিকে জানানো হয়। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে নীরব ছিলেন। পরে প্রশাসনের চাপে থানায় জিডি করতে বাধ্য হন। ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম বলেন, পরিষদের তিন সেট চাবি একটি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ তার নিজের কাছে রাখতেন। আরেক সেট গ্রাম পুলিশ শরিফুলের কাছে ছিল। আরেকটা চাবির সেট ইউপি সচিব বুলবুলির কাছে ছিল। তালা না ভেঙ্গে পরিষদের মালামাল লুট হওয়ার বিষয়টি খুবই ষড়যন্ত্রমূলক বলে তিনি মনে করেন। এ বিষয়ে ইউপি সচিব রোকশানা বুলবুলি জানান, অফিসের মালামাল চেয়ারম্যান সাঈদ তার লোকজনের মাধ্যমে নিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার ব্যাক্তিগত কাজ থাকায় দুপুরে চলে গেছিলাম। শনিবার সকালে অফিসে অবগত হই এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী জানান, ইউনিয়ন পরিষদের মালামাল চুরির বিষয়ে অবগত হওয়ার পর থানায় জিডির জন্য ইউপি সচিবকে বলেছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।.
.
. .
ডে-নাইট-নিউজ / আতিকুর রহমান
আপনার মতামত লিখুন: