কমলনগরে একের পর এক ডাকাতি, জনমনে আতঙ্ক
ডে-নাইট-নিউজ ;
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ০৮:০৭ পিএম; কমলনগরে একের পর এক ডাকাতি, জনমনে আতঙ্ক
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল লুট করে নিচ্ছেন। হামলার শিকার হচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। ধারাবাহিকভাবে সংঘটিত এমন ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে এখানে তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ সোমবার রাতে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়।
জানা গেছে, রাত ২টার দিকে ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী আরিফ হোসেনের বসতঘরে পাঁচ থেকে ছয়জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত হানা দেয়। এসময় ডাকাতদল প্রবাসীর বৃদ্ধ বাবা ও মাকে হাত-পা বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ ও মোবাইল সেটসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নেয়।
প্রবাসীর বাবা রুহুল আমিন সর্দার জানান, ডাকাত দলের সদস্যরা মুখোশ পরা ছিলেন। এ ঘটনায় তারা প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগের দিন (রোববার) রাতে উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চরপাগলা এলাকার বশির উল্যাহ হাওলাদার বাড়ির বেল্লাল হোসেনের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সাত থেকে আটজনের মুখোশধারী ডাকাতদল দরজা ভেঙে বসতঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে বেঁধে স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ সময় বাড়ির লোকজনের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘেরাও করে মো. সেলিম (৩৮) নামের ডাকাতদলের এক সদস্যকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার গভীররাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালীয়া এলাকায় ইসমাইল হোসেন নামে এক সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সংঘবদ্ধ ডাকাতদল প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে নগদ দুই লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে একের পর এক এসব ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় উপজেলার চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে রাতের বেলায় পুলিশি টহল জোরদার করার দাবি জানান তারা।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) উপজেলা সভাপতি মিজানুর রহমান মানিক বলেন, একের পর এক ডাকাতি ও চুরির ঘটনা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাতে টহল বৃদ্ধিসহ আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করছি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম জানান, সোমবারের ডাকাতির ঘটনায় থানায় এখনও কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। এর আগে সংঘটিত দু’টি ডাকাতির ঘটনায় দায়ের হওয়া লিখিত অভিযোগগুলো তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে রাতের বেলায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
.
ডে-নাইট-নিউজ / নাসির মাহমুদ (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি)
অপরাধ বিভাগের জনপ্রিয় সংবাদ
আপনার মতামত লিখুন: