ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত আল শিফা ও আল কুদসের কার্যক্রম একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।.
আজ ১৩ নভেম্বর আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জ্বালানি সংকটের কারণে রোববার হাসপাতাল দুটির সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। বন্ধ করা হয় সব ধরনের অপারেশন।.
দুটি বড় হাসপাতাল বন্ধ হয়ে পড়ায় গাজায় মৃত্যু বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। .
আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছে, রোগী, তাদের স্বজন, আশ্রয় নেওয়াসহ হাসপাতালে কর্মরত সবাই সেখানে বিদ্যুৎ, পানি ছাড়া অবস্থান করছে। আল শিফা হাসপাতালের বাইরে ইসরায়েলিরা অপেক্ষা করছে। তারা কারও নড়াচড়া দেখলেই গুলি করছে।.
আল কুদস হাসপাতালের অবস্থায়ও নাজুক। বিদ্যুৎ, পানি ও পর্যাপ্ত রসদ না থাকায় হাসপাতালটি পরিচালনা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।.
এ দুই হাসপাতাল ছাড়াও বন্ধ হয়ে গেছে উত্তর গাজার কামাল ইদওয়ান হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বলেছেন, জ্বালানির অভাবে হাসপাতালটির মূল জেনারেটর কাজ করছে না। যে কারণেই বন্ধের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে।.
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালে অন্তত ৬৫০ রোগী, প্রায় ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী ও দেড় হাজারের বেশি মানুষ আটকা পড়েছেন। হামলা ও জ্বালানি সংকটে হাসপাতালের তিনজন নার্স নিহত হয়েছেন। তিন নবজাতকসহ এ হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩।. .
ডে-নাইট-নিউজ / ডে-নাইট ডেস্ক:
আপনার মতামত লিখুন: