ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং যতই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ততই বাগেরহাটে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। বাগেরহাটের ৯টি উপজেলায় ৩৪৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে শুকনা খাবারসহ রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।.
গতকাল রবিবার রাত থেকে বাগেরহাটে অবিরাম বৃষ্টির পাশাপাশি সকাল থেকে বইছে ঝড়ো হাওয়া। বাগেরহাটের নদ-নদীতে পানি বেড়ে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মোংলা বন্দর, মোংলা নৌঘাটি, কোস্টগার্ড, সুন্দরবন বিভাগ, রেডক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খুলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৬টি মেডিকেল টিম। .
মোংলা বন্দরে সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ। আজ সকালের মধ্যেই ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবনের দেশি-বিদেশি সব পর্যটকদের নিরাপদে লোকালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সুন্দরবনের কর্মকর্তা-বনরক্ষীদের ছুটি। জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সর্তকতা।.
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন বলছে, ঘূর্ণিঘড় শুরু হবার আগেই জেলার ৩৪৪টি সাইক্লোন শেল্টারে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৩০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা সম্ভব হবে। .
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জেলার ঝুঁকিপূর্ণ ২০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রক্ষায় তারা কাজ করছে। পানি বৃদ্ধির কারণে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। .
ডে-নাইট-নিউজ /
আপনার মতামত লিখুন: